ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

মেলায় সঞ্জয় দে’র আমেরিকার টুকরো গপ্পো ও বলকানের বারুদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৭
মেলায় সঞ্জয় দে’র আমেরিকার টুকরো গপ্পো ও বলকানের বারুদ সঞ্জয় দে’র দুটি ভ্রমণ কাহিনি- ‘বলকানের বারুদ’ ও ‘আমেরিকার টুকরো গপ্পো’

ঢাকা: এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে প্রবাসী লেখক সঞ্জয় দে’র দুটি ভ্রমণ কাহিনি- ‘বলকানের বারুদ’ ও ‘আমেরিকার টুকরো গপ্পো’। বই দুটোর প্রচ্ছদ শিল্পী কাব্য কারিম ও আরাফাত করিম। দুটো বই-ই প্রকাশিত হয়েছে পাললিক সৌরভ প্রকাশনী থেকে।

‘আমেরিকার টুকরো গপ্পো’ মূলত লেখকের প্রবাস জীবনের নানান অভিজ্ঞতা ও আমেরিকা ভ্রমণ উপজীব্য করে রচিত। বইটি সম্পর্কে কিছু কথা বলতে গিয়ে প্রাবন্ধিক ও গবেষক মফিদুল হক লিখেছেন- ‘সঞ্জয় দে এখন পাঠকের দরবারে পেশ করছেন তার মার্কিনী প্রবাসজীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতায় গাঁথা মালিকা, খুলেছেন টুকরো কথার ঝাঁপি।

এখানেও আমরা পাই অবলোকনের সেই বিশিষ্টতার পরিচয়, তিনি সমাজ ও ইতিহাসের আলোকে ঘটনার বিচার করতে সক্ষম, তবে কোনোভাবেই তা তথ্য ও তত্ত্ব-ভারাক্রান্ত হয় না। ঝরঝরে স্বাদু গদ্যে সহজিয়া ঢং-এ তিনি বলে যান তার কথা। ’

অন্যদিকে ‘বলকানের বারুদ’ বইটিতে স্থান পেয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব বলকানের কয়েকটি দেশে লেখকের ভ্রমণ আখ্যান। গল্পকার ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী দীপেন ভট্টাচার্য বইটি সম্পর্কে লিখেছেন, ‘বাঙালি পথিক পূর্ব ইউরোপের পথে সহজে পা মাড়ায় না, সেখানে সঞ্জয় দে এক অদম্য তাগিদে সেই উত্তরের লাটভিয়া থেকে দক্ষিণের আলবেনিয়া পর্যন্ত  ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রুমানিয়ার ড্রাকুলার দুর্গ থেকে আড্রিয়াটিক সাগরের পাশে মন্টিনেগ্রোর উচ্ছ্বল বুদভা শহরে তিনি গিয়েছেন ফটো তোলার তাগিদে নয়, বরং সেই দেশগুলোর ইতিহাস আর সংস্কৃতি জানতে, পথ-চলতি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে পূর্বে সমাজতান্ত্রিক পথ ধরে চলা এসব দেশের রাজনীতি আর অর্থিনীতি বুঝতে। ’

এ’সব উত্থান-পতনের ইতিহাস লিখতে গিয়ে সঞ্জয় তার বইয়ের নামে ‘বারুদ’ কথাটি সংযোজন করেছেন, কিন্তু হেলা করেননি মেসিডোনিয়ার অখ্রিদ হ্রদের তাম্রবর্ণকেশী কাঞ্চনাক্ষী যুবতীর সঙ্গে তার কথোপকথন লিপিবদ্ধ করতে।

বই দু’টি সংগ্রহ করা যাবে একুশে বইমেলার পাললিক সৌরভের স্টল ৪১২ থেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।