না দিলে পিছু পিছু ঘুরে বিরক্ত করছে। টোকাই দেখে কেউ এড়িয়ে যেতে চাইলেও পিছু ছাড়ছে না তারা।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বইমেলা চত্বরে দর্শনার্থীদের সঙ্গে টোকাইদের এমন আচরণ করতে দেখা যায়। এ সময় নীরব ভূমিকায় থাকতে দেখা যায় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা পৌনে তিনটার দিকে বাংলা একাডেমির ১ নম্বর গেটের কাছে অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। হঠাৎ সেখানে ১০/১২ বছর বয়সী কয়েকজন টোকাই তাদের কাছে এসে টাকা দাবি করে। না দিলে তাদের ওড়না, মাথায় থাকা ফুলের রিং ধরে টানাটানি শুরু করে। এটাকাইদের অত্যাচারে ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে আনসার সদস্য আল আমিন বাংলানিউজ বলেন, এরা খুবই বিপদজনক। যে কোনো সময় যে কারো মোবাইল নিয়ে যাবে। এরা দর্শনার্থীদের সঙ্গে সব সময় এ ধরনের ব্যবহার করে। আমি ওদের থামাতে গেলে র্যাবের কাছে আমার নামে বিচার দেওয়ার হুমকি দেয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাকিব বাংলানিউজকে বলেন, এরা মেলার পরিবেশ নষ্ট করছে। কর্তৃপক্ষ কি এগুলো দেখে না? আমি অবাক হলাম এখানে এ রকম একটা পরিস্থিতি হলো। আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নীরব ভূমিকা পালন করলো। আমার মনে হয় আজকে যারা এখানে এই ঘটনার সম্মুখীন হলেন তাদের পরিবারের ছেলে-মেয়েদের মেলায় আসতে দেবে না। বলবে মেলায় নিরাপত্তা নেই।
কেরানীগঞ্জ থেকে মেলায় আসা কহিনুর বেগম বলেন, এটাতো রীতিমতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। এরা মেলার পরিবেশ নষ্ট করছে। কর্তৃপক্ষের বিষয়টি দেখা উচিত।
মেলায় কর্তব্যরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কায়ছার বলেন, আমার ডিইটি শুরু হয়েছে তিনটায়। আমার দায়িত্ব এই এলাকায় যাতে কোনো টোকাই বা ফুল বিক্রেতা আসতে না পারে। আগে যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের উচিত ছিল টেকাইদের ভেতরে ঢুকতে না দেওয়া। আমি থাকলে এমনটা হতো না। যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের বিষয়টি দেখা উচিত ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
এমএইচকে/এমজেএফ