বইমেলায় এসে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের পারফরমেন্স নিয়ে এক ভক্তের সঙ্গে নিজের হতাশার কথা বলছিলেন। একজন, দুজন করে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন ভক্ত ঘিরে ফেলেন চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতকে।
কথা বলতে শুরু করেন তিনি। তার চিরচেনা কণ্ঠ মানুষকে আরও টেনে আনতে থাকে সেখানে।
প্রথমবারের মতো বই বেরিয়েছে চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের। তার বই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চলেন ওই দিকে এগিয়ে যাই’। তবুও তার পেছনে পেছনে ছুটতে থাকে ভক্তকূল।
শিখা প্রকাশনী প্রকাশ করেছে জাফরউল্লাহ শারাফতের প্রথম বই- ‘চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত বলছি‘।
বই প্রকাশের অনুভূতি জানাতে তিনি বলেন, এটা আমার প্রথম বই। আপনাদের মনে আছে ১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের কিলাতক্লাব মাঠে যখন হাসিবুল হোসেন শান্ত লেগ অনে বল ঠেলে দিয়ে এক রান নিলো, রেডিওর মধ্য দিয়ে সেই খবর পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। রং ছড়ানো, মিছিল সবই হয়েছে। পুরো বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর সেবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। এটা আমার জীবনের স্মরণীয় ঘটনা।
চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত বলেন, আমি প্রায় পৃথিবীর সকল দেশ ভ্রমণ করেছি। যত জায়গায় ক্রিকেট হয়, সব স্টেডিয়ামে গিয়েছি। সেখানে মাঠের ভেতর ও বাইরের সুখ ও দুঃখের কাহিনী রয়েছে। এসব মিলিয়েই আমার বই।
বইমেলায় প্রতিবছরই আসেন চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত। বিভিন্ন লেখকদের বই কেনেন, বিশেষ করে খেলাধুলার বই। তবে এবারের আসা কিছুটা ভিন্ন। এবার নিজের বই এসেছে, জানান তিনি।
জাফরউল্লাহ শারাফাত বলেন, এখানে অনেকেই আসছে, ঘুরছে। তবে দর্শনার্থীদের মধ্যে পাঠক কম। বই কেনার হার অনেক কম।
মেলায় বই বিক্রির দশা খারাপ হলেও জাফরউল্লাহ শারাফাত স্টলের সামনে গেলেই তার বই হু হু করে বিক্রি হতে থাকে।
জাফরউল্লাহ শারাফাত বলেন, বাঙালি জাতিকে কথা দিয়ে বাংলা ভাষা দিয়ে, লেখা দিয়ে একত্রিত করা যায়। সেটি আমি দেখেছি। দেখা যায়, কবি ও লেখকরা তাদের লেখা দিয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, টেলিভিশন ও রেডিওতে এখন বাংলা ভাষার বিপর্যয় ঘটছে। না ইংরেজি না বাংলায় কথা বলছে। এই ‘বাংরেজি’ ভাষার জন্যে বিপজ্জনক।
বাংলা ভাষায় ধারাভাষ্য দিয়ে যে পরিমাণ জনপ্রিয়তা অর্জন করা যায়, ইংরেজিতে তা সম্ভব নয় বলেও মনে করেন জনপ্রিয় এই ধারাভাষ্যকার।
‘আমি জাফরউল্লাহ শারাফাত বলছি’ বাক্যটি নিজের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডেলিভারি বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
এমএন/ওএইচ/এমজেএফ