বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৩টায় মেলা প্রাঙ্গণে দর্শনার্থীদের চাপ অনেক কম। বিকিকিনিও তেমন শুরু হয়নি।
বিক্রেতা সোলেমান বলেন, গত দু’দিন উৎসব থাকলেও বিক্রি কিন্তু তুলনামুলক কম হয়েছে। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পয়লা ফাল্গুনে মেলায় ঘুরতে এসেছিলেন মানুষ। বসন্ত উৎসব পালনের অন্যতম স্থানও এ বইমেলা প্রাঙ্গণ। আর মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভালবাসা দিবসেও ছিলো উৎসব পরিবেশ। মানুষ মেলা প্রাঙ্গণে যেমন ঘুরেছে বা ছবি তুলেছে, তেমন বই কিনেনি। এর তুলনায় গত শুক্র ও শনিবারে বই বিক্রি ভালো ছিলো বলে জানান তিনি।
বুধবারের মেলাতে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পড়ুয়া তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতিই বেশি চোখে পড়ে।
এদিকে দেখা যায়, মেলার ১৫তম দিনে এসে পূর্ব প্রান্তে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে মাত্র নির্মিত হচ্ছে পুস্তক মালিক সমিতির স্টল। মেলায় গত সোমবার থেকে বেশ কিছু চত্বর নির্ধারণ করে কাঠের ফ্রেমে বাক্স আকৃতির চিহ্ন স্থাপন করলেও, নেই চত্বর নির্দেশনা।
মেলায় কাগজ, পানির বোতল বা অন্য আবর্জনা ফেলার জন্য কোনো ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়নি এখনো। ফলে খাবারের প্যাকেট বা পানির বোতল ছুড়ে ফেলছে মেলা প্রাঙ্গণেই।
এসব টানা পোঁড়নের মধ্য দিয়েই ১৫তম দিনে পা দিয়েছে এবারের গ্রন্থমেলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭
এমএন/ওএইচ/এসএইচ