ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বইমেলা

পড়া খেলার নতুন সুর, চলো যাই সিসিমপুর

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৮
পড়া খেলার নতুন সুর, চলো যাই সিসিমপুর বইমেলার শিশুপ্রহরে শিশুরা। ছবি: সুমন শেখ/বাংলানিউজ

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: জারা’র বয়স চার বছর ছাড়িয়েছে মাত্র। মায়ের হাত ধরে সে চলে এসেছে বাংলা একাডেমির অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। একটা বইও কিনেছে। বইটা তার এতটাই ভালো লেগেছে যে, মেলা প্রাঙ্গণেই খুলে বসেছে তার মলাট। ছবির রঙে পড়তে শুরু করেছে ‘পরী ও ভাইরাস’ গল্প।

জারার পাশেই বসা ছোট্ট অমি। জারার দেখাদেখি বই খুলেছে সেও।

তবে শুধু এরা দু’জন নয়, শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) মেলার শিশু প্রহরে আসা প্রায় সকল শিশুই বুঁদ হয়ে ছিল নতুন বইয়ের মধ্যে।  

কয়েকজনকে তো আবার রাস্তার মাঝ দিয়ে হাঁটার সময়ও বই পড়তে পড়তেই হাঁটতে দেখা গেলো।

কথা হলো রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রন্থমেলায় আসা ছোট্ট অবন্তির সঙ্গে। চার বছরের অবন্তির চোখ তখন রাস্তার পরিবর্তে বইয়ের গল্পে সীমাবদ্ধ। বাবার কাছে অবশ্য বকুনিও খেয়েছে সে একটু। তবু চোখ ওঠেনি বই থেকে। এমনকি এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার সময়ও সে বুঁদ হয়ে ছিল বইয়ের মধ্যেই।

অবন্তি বলে, এ বইটা আমি হালুম আর ইকরির দোকান থেকে কিনেছি। এ গল্পগুলো দারুন মজার, আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।

কথা হয় জারা’র মা মুর্শিদা খানমের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, গ্রন্থমেলায় শিশুদের জন্য একটা আলাদা প্রহর সত্যিই অনেক দারুণ ব্যাপার। এখানে অন্যদের থেকে শিশুদের অধিকারটা বেশি। তারা ইচ্ছে মতো এই সময়টা উপভোগ করতে পারে এখানে এসে। নিজেদের পছন্দের বইগুলো পায়। আর সব থেকে বেশি মজা পায় টিভিতে দেখা কার্টুন চরিত্রের সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে পেরে।

অবন্তির বাবা আরিফুল ইসলাম বলেন, মেলায় এসে শিশুরা এই ছোট্ট বয়স থেকেই যেভাবে বইয়ের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে, তা তাদের সৃজনশীল মেধা বিকাশে সহায়তা করবে। এছাড়া এবারের মেলায় অন্যবারের তুলনায় বইয়ের সমাহার প্রচুর। আছে বিভিন্ন আঙ্গিকও। শুধু বয়স অনুযায়ী নির্দিষ্ট বইটা তাদের হাতে তুলে দিতে পারলেই হলো। কেননা তারা বইয়ের প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহী।

পড়া খেলার নতুন সুর, চলো যাই সিসিমপুরমেলা ঘুরেও তেমন তথ্যই মিললো। শিশুবেলা প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মকর্তা ইমরান হাসান জানান, বইয়ের বিক্রি তুলনামূলকভাবে বেশ ভালো। অভিভাবকেরাও তাদের সন্তানদের হাতে তুলে দিচ্ছেন বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক দারুণ সব বই।

মেলা প্রকাশনীর কর্মকর্তা ফারহান শাহরিয়ার বলেন, ছোট্ট শিশুরা তো পড়ার তুলনায় দেখার ওপর বেশি আগ্রহী। সে প্রেক্ষিতে কার্টুনের বইগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে থেমে নেই তথ্যভিত্তিক আর গল্পের বইগুলোও।

শুক্রবার শিশুপ্রহর শুরু হয় বেলা ১১টায়। এরপর সাড়ে ১১টার দিকে সিসিমপুর মঞ্চে আসে শিশুদের প্রিয় কার্টুন চরিত্র হালুম-ইকরি-শিকু ও টুকটুকি। এসময় তাদের সঙ্গে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে শিশুরা। এর একটু পরেই শুরু হয় তাদের বই কেনা আর পড়ার প্রতিযোগিতা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮
এইচএমএস/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।