ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বইমেলা

ইকরি এসো, হালুম এসো- ধ্বনিতে মুখরিত শিশু প্রহর!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
ইকরি এসো, হালুম এসো- ধ্বনিতে মুখরিত শিশু প্রহর! শিশুপ্রহরের আকর্ষণ ইকরি-হালুম/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঘড়ির কাঁটায় বেলা সাড়ে ১১টা। অমর একুশে গ্রন্থমেলার প্রাঙ্গণের শিশু চত্বরে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষুদে প্রাণের কোলাহল। শিশু চত্বর ঘিরে সবার কন্ঠে ইকরি এসো, টুকটুকি এসো, হালুম এসো-ধ্বনি।

শিশুদের ডাকের সঙ্গে সঙ্গে পর্দা উঠিয়ে প্রথমে বই হাতে মঞ্চে প্রবেশ করে সিসিমপুরের প্রিয় চরিত্র টুকটুকি।

টুকটুকি ঘাড় দুলিয়ে শিশু বন্ধুদের কাছে নিজের পরিচয় দেয়, 'আমি টুকটুকি, বই পড়তে ভালোবাসি! আমার লম্বা লম্বা চুল, বেনী করে রাখি! 

এ সময় শিশুদের মধ্যে আনন্দের হুল্লোড় খেলে যায়।

টুকটুকির পর একে একে প্রবেশ করে হালুম, ইকরিও। সবাই টিভিতে দেখা টুকটুকিকে বাস্তবে একটু ছুঁয়ে দেওয়ার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বই মেলায় শিশু প্রহরের দৃশ্য ছিলো এমন। সকাল ১১টায় মেলার গেট খুলে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ছোট্ট শিশুদের সঙ্গে নিয়ে আসতে শুরু করে অভিভাবকরা।  

বাহারি বইয়ে আগ্রহের পাশাপাশি শিশু চত্বরে সিসিমপুরের আয়োজন নিয়ে শিশুদের ছিলো বাড়তি উন্মাদনা। হালুম, টুকটুকি ও ইকরিদের বিনোদনে শিশুরা যেন হারিয়ে যায় ভিন্ন এক জগতে।

সিসিমপুরের বিনোদনে বাবা মায়ের কাছ থেকে বই কেনার কথা একবারো ভোলেনি তারা। মেলায় আসা সব ক্ষুদে পাঠকদের কাছেই ছিলো রঙিন মলাটে আবদ্ধ ডাইনোসর, রূপকথার পরী, ভুতের গল্পের বই।

বিক্রেতারা জানায়, মেলায় শিশুরা এলেই বই না কিনে ফেরে না। প্রথম থেকে গ্রন্থমেলায় শিশুদের বইয়ের বিক্রি ভালো।   

নলেজ প্রকাশনীর কর্ণধার মোস্তফা জালাল বাদল বাংলানিউজকে বলেন, বইয়ের বিক্রিও ছিল তুলনামূলক ভালো। বিশেষ করে, কমিক্সের বইগুলোর বিক্রি বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
এমসি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।