ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

মধ্যমেলায়ও প্রকাশে এগিয়ে কবিতার বই

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
মধ্যমেলায়ও প্রকাশে এগিয়ে কবিতার বই গ্রন্থমেলায় বই পড়ছে এক কিশোর/ছবি: শাকিল আহমেদ

গ্রন্থমেলা থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলার ১৮তম দিন রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নতুন বই এসেছে ১৩৩টি। এরমধ্যে মেলা শুরুর দিকের মতোই বেশি প্রকাশিত হয়েছে কবিতার বই।

জানা গেছে, এদিন কবিতাগ্রন্থ ৫০টি, গল্প ২৩, উপন্যাস ১৫, প্রবন্ধ ৮, গবেষণা ১, ছড়া ৪, জীবনী ৪, মুক্তিযুদ্ধ ১, ভ্রমণ ৩, ইতিহাস ২, স্বাস্থ্য ২, সায়েন্স ফিকশন ৪ ও অন্যান্য গ্রন্থ ১৬টি প্রকাশ হয়েছে।

বিকেলে মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘এ এফ সালাহ্উদ্দীন আহমদ ॥ মুজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী ॥ এ কে নাজমুল করিম’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুনতাসীর মামুন, মীজানূর রহমান শেলী এবং সোনিয়া নিশাত আমিন। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর।

এ এফ সালাহ্উদ্দীন আহমদ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করে মুনতাসীর মামুন বলেন, অধ্যাপক সালাহ্উদ্দীন আহমদ বাঙালির সত্যসন্ধ ইতিহাসচর্চার এক অনন্য পুরোধা-ব্যক্তিত্ব। অসাম্প্রদায়িক-মানবতাবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলা ভাষা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও সংস্কৃতি, ধর্মনিরপেক্ষতা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে প্রণয়ন করেছেন অসামান্য গবেষণাকর্ম। আমৃত্যু বাংলাদেশের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক-সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে নিবিড় যুক্ততার মধ্য দিয়ে মৌলবাদ-ধর্মান্ধতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার সোচ্চার অবস্থান ছিলো গণতান্ত্রিক-বহুত্ববাদী সমাজ-নির্মাণে আমাদের অফুরান প্রেরণার উৎস।

মুজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করে ড. মীজানূর রহমান শেলী বলেন, অধ্যাপক মুজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী ছিলেন গুণী শিক্ষক, সত্যসন্ধ পণ্ডিত এবং পরিশ্রমী লেখক। ১৯৪৮-৫২ এর ভাষা আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক হিসেবে তিনি তৎকালীন রাজন্যবর্গের রোষে পড়েছিলেন। যেখানে রাজনীতি জীবন, যেখানে জীবন মাতৃভাষা এবং জাতীয় স্বাধিকারের মৌল জিজ্ঞাসা; সেখানে অধ্যবসায়ী শিক্ষক হয়েও তিনি বিচ্ছিন্ন ছিলেন না।

এ কে নাজমুল করিম শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থান করে সোনিয়া নিশাত আমিন বলেন, ড. করিম সম্ভবত উপমহাদেশের সেই পথিকৃৎ সমাজবিজ্ঞানী যিনি সমাজবিজ্ঞানের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে বিশদ কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষকও। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রগতিমুখীন অভিযাত্রা নিশ্চিত করতে যারা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে নীরবে কাজ করে গেছেন, তাদের অন্যতম এ কে নাজমুল করিম।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর বলেন, এ এফ সালাহ্উদ্দীন আহ্মদ, মুজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী, এ কে নাজমুল করিম- এ তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তি বাঙালি মুসলমানের সমাজবিকাশের ধারাকে তাত্ত্বিকভাবে চিহ্নিত করেছেন এবং একই সঙ্গে প্রায়োগিক দিশা প্রদানের কাজটিও নিষ্ঠার সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন।

এর আগে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা তারিক সজীবের প্রবন্ধগ্রন্থ ‘কোথায় পাবো মনের মানুষ’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব। বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন নবীনগর উপজেলা ওয়েলফয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বায়েজীদ ভূঞা। এ সময় অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বইটি প্রকাশ করেছে বিজয় প্রকাশ।

সন্ধ্যায় মূলমঞ্চের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিলো মো. মাসকুরে সাত্তারের পরিচালানায় আবৃত্তি সংগঠন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের পরিবেশনা।

আগামীকাল সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ১৯তম দিনে মেলা চলবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। আলোচনায় অংশ নেবেন কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন এবং ফাহমিদা খাতুন। সভাপতিত্ব করবেন হাসনাত আবদুল হাই। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হবে সামিউন জাহান দোলার একক অভিনয়ে ধ্রুপদী অ্যাক্টিং স্পেস’র নাটক নভেরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
এইচএমএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।