শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল ১১টায় মেলার দ্বার উন্মুক্ত করলেও দুপুর ১টা পর্যন্ত মেলায় দর্শনার্থী, পাঠক এবং ক্রেতাদের আগমন ছিল হাতেগোনা। তবে বিকেলে মেলায় লোক সমাগম হবে বলে আশা করছেন প্রকাশনা সংস্থা এবং শিশু একাডেমি কর্তৃপক্ষ।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, দুপুর পর্যন্তও মেলার বেশ কিছু স্টল বন্ধ ছিল। আর যেসব স্টলে বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন বিক্রেতারা, তারাও প্রায় একরকম শুধু বসে সময় পার করেছেন, কেউবা বই পড়ে।
এ প্রসঙ্গে বাতিঘর প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী মোহাম্মদ হাসান বলেন, সকাল থেকে মাত্র দুটো বই বিক্রি করেছি। মেলায় ক্রেতারা আসছে না বললেই চলে। তবে আশা করছি বিকেলের দিকে কিছু দর্শনার্থী-ক্রেতারা আসবেন।
অ্যাডর্ন পাবলিকেশন্সের বিক্রয়কর্মী নাজমুল হাসান বলেন, মেলায় বিক্রি নেই বললেই চলে। সকাল থেকে কোনো বই বিক্রি হয়নি। স্টলে বসে তাই সময় পার করতে বই পড়ছি।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) শুরু হওয়া এই বই মেলা চলবে আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত। এ মেলায় অংশ নিয়েছে ৭৬টি প্রকাশনী সংস্থা। এদের মধ্যে প্রথমা, সাহিত্য প্রকাশ, কথা প্রকাশ, বেহুলা বাংলা, ভাষাচিত্র, বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, বাতিঘর, জার্নিম্যান বুকস, তাম্রলিপি, অনন্যা, সময় উল্লেখযোগ্য।
মেলা প্রাঙ্গণে কথা হয় শিশু একাডেমির কর্মকর্তা এবং লেখক ও সাহিত্যিক সুজন বড়ুয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, সকালে শিশু প্রহর বা অন্য কোনো আয়োজন না থাকায় এখন শিশুদের আনাগোনাটা একটু কম। এছাড়া মেলা সবেমাত্র শুরু হওয়াটাও একটা কারণ। তবে বিকেলে কিছু আয়োজন আছে এবং আশা করছি সে সময় থেকে মেলায় লোক সমাগম হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯
এইচএমএস/আরআর