ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

বইমেলায় জমে উঠেছে বেচা-বিক্রি

এম আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
বইমেলায় জমে উঠেছে বেচা-বিক্রি মেলা বই পড়ছেন দর্শনার্থীরা। ছবি: অনিক খান

ময়মনসিংহ: আর মাত্র দু’দিন। এরপরই সাঙ্গ হবে বইপ্রেমীদের মিলনমেলা। ফলে ময়মনসিংহ বিভাগীয় বইমেলার চারদিনে পুরোদমে জমে উঠেছে বেচা-বিক্রি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলের পর থেকে সব বয়সী মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে মেলায়। স্টলে স্টলে গিয়ে ক্যাটালগ দেখে বই কেনার তোড়জোড় চলছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চারদিনে এসে বইমেলা পরিপূর্ণতা পেয়েছে।

বুধবার থেকেই পাঠক-দর্শনার্থীদের সমাগমে মেলা প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। প্রথম দু’দিনের বিক্রিতে মন্দা কাটিয়ে এখন বিক্রি নেহাত মন্দ নয় বলে জানালেন বিভিন্ন স্টলের বিপণন কর্মকর্তারা। মেলা বই পড়ছেন দর্শনার্থীরা।  ছবি: অনিক খানসরেজমিনে ঘুরে দেখা গেলো, প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে মেলা শুরু হলেও মেলা জমে উঠেছে সন্ধ্যার পর পর। রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে প্রাণ পাচ্ছে বইমেলা। মেলার মোট ৭৬ স্টলেই বইয়ের টানে পাঠকদের উপস্থিতি মিলেছে। ছুটির দিন কেবল সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বইমেলা চলছে।  

মেলায় ৩৯ নম্বর স্টলটি মাওলা ব্রাদার্সের। এখানকার বিপণন কর্মকর্তা শাহীন শিকদার বাংলানিউজকে জানান, মেলাজুড়ে নির্দিষ্ট পাঠকের আনাগোনা রয়েছে। প্রাণবন্ত পরিবেশে স্বত:স্ফূর্তভাবে মানুষ মেলায় আসছে, ঘুরছে এবং বই কিনছে। সন্ধ্যার পর বিক্রি পুরোমাত্রায় জমে উঠেছে।

বিভিন্ন স্টলের বিপণন কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন, বৃহস্পতিবার মেলার চিত্র আরো পাল্টে যাবে। শান্ত, নিস্তরঙ্গ পরিবেশও বদল হবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় ওইদিন রীতিমতো জন স্রোত বয়ে যাবে।

বইমেলায় এসেছেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরে আব্দুস সোবহান। রোমান্টিক উপন্যাস রয়েছে তার পছন্দের তালিকায়। তিনি জানান, মেলায় বইপড়ুয়াদের দাপট দেখলাম। অসম্ভব ভালো লেগেছে। যান্ত্রিকতার যুগে মানুষের আবেগ-অনুভূতি ভোতা হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বইপড়ুয়া এভাবে জেগে উঠে আমাদের হৃদয়কে আন্দোলিত করেছে।

৬ দিনব্যাপী এ বইমেলায় উল্লেখযোগ্য বই এসেছে। মাওলা ব্রাদার্স থেকে প্রকাশিত সেরা ১০ বইয়ের একটি তালিকা বাংলানিউজকে দিয়েছেন বিপণন কর্মকর্তা শাহীন শিকদার।

এর মধ্যে- ড.আবু মাহমুদের ‘মার্কসীয় বিশ্ববীক্ষা, সৈয়দ শামসুল হকের ‘বিন্দু’ (নির্বাচিত সৈয়ত শামসুল হক), জয় চ্যাটার্জীর ‘দেশভাগের অর্জন’, হুমায়ুন আহমেদের ‘মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাসসমগ্র’, আক্তারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘রচনাসমগ্র (১ম খন্ড), ‘রচনাসমগ্র (২য় খন্ড), ‘রচনাসমগ্র (৩য় খন্ড), ‘রচনাসমগ্র (৪র্থ খন্ড), আহমদ ছফার উপন্যাসসমগ্র, হরিশংকর জলদাস ‘দহনকাল (প্রথম আলো বর্ষসেরা বই : ১৪১৬), শাহাদুজ্জামান (ক্রাচের কর্নেল (বাংলা একাডেমী পুরস্কারপ্রাপ্ত), নাসরীন জাহানের উড়ুক্কু (ফিলিপস পুরস্কারপ্রাপ্ত)।

বাংলাদেশ সময় ১৭৫০ ঘন্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
এমএএএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।