যেখানে শুধু বই কেনাবেচার বাইরেও মেলায় আসা দর্শনার্থীদের জন্য ভিন্ন কিছু আয়োজন রেখেছে মেলা কর্তৃপক্ষ। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) মেলা ঘুরে দেখা যায়, এবারের বইমেলার সবচেয়ে ভালো দিকটি হচ্ছে মেলা চত্বরজুড়েই সুন্দর বসবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া ইট বিছানো প্রশস্ত পথে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটতে পারছেন। আর বই কেনার পাশাপাশি বসে জিরিয়েও নিতে পারছেন পাঠক-দর্শনার্থীরা।
এবার ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে বেশ ঘটা করে সাজানো হয়েছে বইমেলা। বাংলা একাডেমি ও সোহরওয়ার্দী উদ্যানকে চারটি ভাগে ভাগ করে বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা অধ্যায় তুলে ধরা হয়েছে পুরো মেলাজুড়ে।
‘শেকড়’, ‘সংগ্রাম’, ‘মুক্তি’ এবং ‘অর্জন’ চারটি ভাগে ভাগ করে বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবনের অর্জনকে তুলে ধরার প্রয়াস রয়েছে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে। সেদিক থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি, বঙ্গবন্ধুর কথামালা ও তার অর্জনের বিভিন্ন বিষয়কে দৃষ্টিনন্দনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
বইমেলায় এবার দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়নগুলোও আকর্ষণীয় বিষয়ে পরিণত হয়েছে পাঠক দর্শনার্থীদের কাছে। এবারের মেলায় ৩৪টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে কথাপ্রকাশ, ইউপিএল, বাংলা প্রকাশ, পাঞ্জেরী, ঐতিহ্য, জার্নিম্যান বুকস, শোভাপ্রকাশ, প্যাভিলিয়নগুলো দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে।
মেলায় ঘুরতে আসা হালিমা বেগম নামে এক দর্শনার্থী বলেন, মেলায় ধুলোর ছড়াছড়ি নেই। স্টলে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে গেলে বসে জিরিয়ে নেওয়ারও ব্যভস্থা রয়েছে। এছাড়া পুরো মেলাকে যেভাবে সাজানো তা সবাইকে মুগ্ধ করছে।
প্রতিদিন অনেককেই এসব প্যাভিলিয়নের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে দেখা যায়। এছাড়া মেলার স্টলের মধ্যে বাতিঘর, কুঁড়েঘরসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান সুন্দর ডিজাইনের নকশায় নির্মিত হয়েছে। যা মানুষের মাঝে কৌতূহলেরও সৃষ্টি করেছে।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিনই প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটেছে মেলায়। অনেকেই ঘুরে ঘুরে নিজের পছন্দমতো বই কিনেছেন। অনেককে আবার দেখা গেছে ক্যাটালগ সংগ্রহ করতে। মেলায় বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে ইতোমধ্যেই বেশিরভাগ নতুন বই চলে এসেছে। ফলে কেনাবেচা পুরোদমেই শুরু হয়ে গেছে বইমেলার প্রথম সপ্তাহেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
এইচএমএস/এমএ