বইটি বাজারে এনেছে প্রকাশনা সংস্থা ‘বৈভব’। বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ।
কবিতাকলা ভবন বইটি সম্পর্কে জানতে চাইলে মৃদুল বলেন, এই বই শিল্প, সাহিত্য, কবিতাকে দেখার একটা উপায় মাত্র। এখানে নিজের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রখরভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। মানুষ শারীরিকভাবেই নিরপেক্ষ জীব না। ফলে সমতার অভিনয়ের মাধ্যমে উভয় পক্ষ রক্ষার কোনো দায় আমার নেই এবং সচেতনভাবে এখানে এ সমস্ত এড়িয়েছি। লেখালেখি আমার কাছে নিরপেক্ষ হয়ে থাকার ভদ্র উপায় নয়। শিল্প, সাহিত্য নিয়ে কথা বলা যত না ব্যক্তিগত দায়, তার থেকে বেশি একক ব্যক্তির সামাজিক অ্যাক্টিভিটি বলে মনে হয় আমার কাছে। ফলে নানা রকম প্রচলিত বা অপ্রচলিত চিন্তা, ব্যবস্থা, বিশ্বাস, আচরণের মধ্যে তীব্র অসমতা তৈরির পাঁয়তারা আছে এই লেখাগুলোর মধ্যে।
‘শিল্প, সাহিত্য, কবিতা যেহেতু মিনিংফুল জীবনের প্রভাবক আমার কাছে, সেহেতু অব্যবহারিক শব্দজব্দের বিরুদ্ধে বইটাকে যুদ্ধেও নামাতে চাইনি আমি, চেয়েছি আমাদের ব্যাবহারিক চিন্তাগুলোকে সে জিতিয়ে আনুক। শিল্প, সাহিত্যের প্রয়োজন আর অপ্রয়োজনের অনুপাতের বিপুল ফারাক তৈরি করাই এ বইয়ের উদ্দেশ্য। মানুষের দেখার চোখের পরিচ্ছন্নতা, স্বচ্ছতা সেই সময়ের শিল্প, সাহিত্য, কবিতাই নির্ধারণ করে। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাহিত্য, কবিতাকে উল্টেপালটে দেখতে হয় এবং নতুন কেজো শিল্পের রাস্তাগুলো শিল্পচিন্তার মাধ্যমে সুগম করে রাখতে হয়। এগুলোই আমার চেষ্টা এ বইয়ে। ’
এর আগে জলপ্রিজমের গান (২০১০), কাছিমের গ্রাম (২০১৬), ঊনমানুষের ভাষা (২০১৮) নামে মৃদুল মাহবুবের আরও তিনটি কবিতার বই প্রকাশ পেয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
এইচজে