বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমি সূত্র থেকে জানা যায়, মেলার নীতিমালা লঙ্ঘন করায় ২৩ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
নীতিমালা লঙ্ঘনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- জয়বাংলা, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, জয় বাংলা আর্ট গ্যালারি অ্যান্ড স্টুডিও, মাইক্রোস ডিজিটাল, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন, শিশু সাহিত্য বইঘর, ছোটদের জ্ঞান বিজ্ঞান একাডেমি, ছোটদের মেলা, জনতা প্রকাশ, বাঁধ পাবলিকেশন্স, কালিকলম প্রকাশনা, নবরাগ প্রকাশনী, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ স্মৃতি সংসদ, আলগাজী পাবলিকেশন্স, আবিষ্কার, শিশু-কিশোর প্রকাশন, মুক্ত প্রকাশ, শিশু প্রকাশ, কালধারা, মৌ প্রকাশনী, মেধা পাবলিকেশন্স, নিহাল পাবলিকেশনস এবং অভ্র প্রকাশ।
অমর একুশে গ্রন্থমেলার নীতিমালা ও নিয়মাবলির ৭.১ ধারা অনুযায়ী মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশকগণ কেবল বাংলাদেশে মুদ্রিত ও প্রকাশিত বাংলাদেশের লেখকদের মৌলিক/অনূদিত/সম্পাদিত/সংকলিত বই বিক্রি করতে পারবেন। অথচ এ ধারা লঙ্ঘন করে মেলায় বিদেশি লেখকদের শত শত বই প্রকাশ ও বিক্রি করছেন প্রকাশকরা। তাই তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ।
নীতিমালা লঙ্ঘনের বিষয়ে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০ এর সদস্য সচিব ও আহ্বায়ক ড. জালাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে জানা যায়, এসব প্রতিষ্ঠান গ্রন্থমেলার নীতিমালা ও নিয়মাবলি ৭.১ ধারা লঙ্ঘন করেছে। গ্রন্থমেলার টাস্কফোর্স উপকমিটি একাধিক দিন পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উক্ত ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর জন্যও বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, আমরা ২৩টি প্রকাশনীকে প্রাথমিকভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। তারা নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন। এই বিষয়ে আমরা পাঠক, লেখক, প্রকাশক, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে জবাব পাওয়ার পর আগামী মেলায় আমরা তাদের বিষয়ে ভেবে দেখব।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
এইচএমএস/এজে