শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে বইমেলার শিশু চত্বর ঘুরে দেখা যায়, বাবা মায়ের হাত ধরে শিশুরা নিজের পছন্দের বই দেখছে ও কিনছে। শেষ সময়ে ঢাকার বাইরে থেকেও অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের নিয়ে এসেছেন বইমেলায়।
ময়মনসিংহ থেকে কিশোর আশিক উল্লাহ বিজয়কে নিয়ে মেলায় এসেছে তার বাবা এনায়েত উল্লাহ। এই ব্যাংক কর্মকর্তা নিজেও প্রথমবার এসেছেন বইমেলায়। কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বইমেলার পরিসর অনেক বড়। গণমাধ্যমে যা দেখি, তার থেকেও বড়। ছেলের শখ বইমেলা আসা। তাই সেই শখ পূরণ করতেই তাকে নিয়ে আসা, সঙ্গে নিজেও চলে এলাম।
আশিক উল্লাহ বিজয় বাংলানিউজকে বলেন, বইমেলা খুবই বড়। অনেক অনেক বই এখানে। আমি গণিত এবং বিজ্ঞানের কিছু বই কিনেছি এবং সারাদিন মেলা ঘুরে আজ আরও অনেক বই কিনবো।
ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আসাওফ ঠাকুরকে নিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধনিয়া এলাকা থেকে বইমেলায় এসেছেন তার বাবা ফরহাদ ঠাকুর। সন্তানের জন্য তিনি কিনেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর লেখা বেশকিছু বই।
কথা হলে আসাওফ বাংলানিউজকে বলেন, এ বছরের মেলায় এবারই প্রথম আসলাম। মেলা ঘুরে অনেক বই দেখে ভালো লাগছে। সারাদিন মেলায় ঘোরার এবং আরও অনেক বই কেনার ইচ্ছে আছে।
আসাওফের বাবা ফরহাদ ঠাকুর বলেন, অনেক মানুষ আসছে মেলায়। এই ভিড়ের মধ্যে বাচ্চাকে নিয়ে স্টলগুলো ঘুরতে একটু কষ্টই হচ্ছে। তবে অন্য অনেক শিশুদের উপস্থিতিতে আমার সন্তানও আনন্দ পাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। আনন্দ করতে করতেই যদি বাচ্চারা কিছু শিখতে পারে, এর থেকে ভালো আর কিছুই হতে পারে না।
এদিকে ছুটির দিনের সকাল থেকেই শিশুচত্ত্বরে বইয়ের বিকিকিনি ভালো বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন প্রকাশক। এ প্রসঙ্গে পঙ্খিরাজ প্রকাশনীর প্রকাশক দেওয়ান আজীজ বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকেই শিশুদের উপস্থিতির পাশাপাশি বইয়ের বিক্রিও বেশ ভালো। মেলা এখন শেষ সময়ে থাকায় যারাই মেলা আসছেন, তারা সবাই প্রায় বই কিনছেন। আর ছোটদের বইগুলোর মধ্যে গল্পের বইয়ের প্রতিই শিশুদের ঝোঁক বেশি।
এদিকে শিশু চত্বরে বই কেনার পাশাপাশি আগত সোনামোণিরা উপভোগ করছে সিসিমপুরের আয়োজনে বিশেষ পরিবেশনা। শিশুদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের বাবা-মায়েদেরও বেশ আনন্দ ও উদ্দীপনা নিয়ে সিসিমপুরের আয়োজন উপভোগ করতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০
এইচএমএস/এইচএডি/