বই মেলা থেকে: মিডফোর্ড হাসপাতালের পাশের এলাকা থেকে পরিবার নিয়ে বইমেলায় এসেছেন মাহমুদুর হাসান জাহেদ। তিনি পড়াশোনা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ছোটো-বড়সহ পরিবারের ৮ সদস্য নিয়ে অমর একুশে বইমেলা-২০২১ এ বই কিনতে ও ঘুরতে এসেন তারা। বইমেলার প্যাভিলিয়ন ঘুরে ঘুরে দেখা শেষে বিশ্রাম নিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃত্রিম লেকের পাড়ে বসে বাদাম খাচ্ছেন এই পরিবারটির সদস্যরা।
শুধু মাহমুদুর হাসান জাহেদের পরিবারই নয় লেকটির চার পাশে থাকা কনক্রিটের ব্রেঞ্চে বসে থেকে সময় পার করছেন অনেক দর্শনার্থী। এ সুযোগে পণ্য বিক্রির জন্য তাদের কাছে যাচ্ছেন হকাররা। এতে কেউ বিরক্ত হচ্ছেন আবার কেউ উপকৃতও হচ্ছেন।
জাহের বাংলানিউজকে বলেন, এবারের বইমেলায় আজই প্রথম আসলাম। ভেবেছিলাম মানুষ তেমন থাকবে না। কিন্তু বেশ অনেক লোকের সমাগম রয়েছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি। বইমেলার পাশে লেক থাকায় এখানে বসে সবাই বিশ্রাম নিতে পারছে।
রোববার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় বইমেলা এলাকার লেক পাড় পরিণত হয়েছিলো একটি আড্ডাস্থলে।
সন্ধ্যার চা হাতে বন্ধুদের সঙ্গে কথায় মশগুল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনন্যা। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বইমেলা শুরু হওয়ার পরে আমি দুইবার এসেছি। আসলে এখানে নানা রকম বই দেখা-নেওয়াসহ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া যায়। এবার বইমেলাটা লেকের পাড়ে করাতে দর্শনার্থীদের জন্য ভালো হয়েছে।
কথা হয় বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী নাহিদ হাসানের সঙ্গে। তিনি উত্তরা থেকে বন্ধুদের সঙ্গে এসেছেন।
নাহিদ হাসান বাংলানিউজকে বলেন, এবারের বইমেলা আসলেই ভিন্ন রকম রূপ নিয়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে যে বইমেলার আয়োজন হয়েছে এটাই বড় কথা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা আমাদের সবার জন্যই জরুরি। আরেকটি কথা হলো বইমেলা শুধু বইয়ের জন্যই নয়। এটাকে মিলনমেলাও বলা চলে। তবে এবার করোনার সংক্রমণ উপেক্ষা করে ২০২১ এর মার্চ মাসে মেলাটি অনুষ্ঠিত হওয়ায় আগের মত জনসমাগম নেই। আরেকটি বিষয়ে না বললেই নয়। সেটি হলো কর্তৃপক্ষ চাইলেই পারতো বই প্রকাশনার প্যাভিলিয়নগুলো আরেকটু দূরত্ব রেখে স্থাপন করতে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২১
আরএ