ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

৫০ বছরের এক গর্বিত পরিক্রমার নাম বাংলাদেশ

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২১
৫০ বছরের এক গর্বিত পরিক্রমার নাম বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছরের অভিযাত্রা শীর্ষক আলোচনা সভা | ছবি: ডিএইচ বাদল

বইমেলা থেকে: পঞ্চাশ বছরের এক গর্বিত পরিক্রমার নাম বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধ এই পরিক্রমার রক্তাক্ত ভিত্তিভূমি বলে উল্লেখ করেছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেলে বইমেলার মূলমঞ্চে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছরের অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

আলোচনা সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মফিদুল হক। আলোচনায় অংশ নেন শাহরিয়ার কবির ও মোহাম্মদ হান্নান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।

স্বাগত বক্তব্যে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, পঞ্চাশ বছরের এক গর্বিত পরিক্রমার নাম বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধ এই পরিক্রমার রক্তাক্ত ভিত্তিভূমি, বঙ্গবন্ধু এর মহান কান্ডারী। মুক্তিযুদ্ধ কোনো আকস্মিকতার ফল নয় বরং ইতিহাসের এক অনিবার্য ধারাবাহিকতার নাম। হাজার বছরের বিদ্রোহী ও সংগ্রামী পরম্পরায় আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিজয় অর্জন করেছি।

প্রাবন্ধিক মফিদুল হক বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর লগ্নে স্বাভাবিকভাবে আমাদের দৃষ্টিসীমায় ভেসে ওঠে পঞ্চাশ বছরের পথ-পরিক্রমণ। আমরা যারা ইতিহাসের সাক্ষী, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে রক্তরঞ্জিত বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের প্রত্যক্ষদর্শী, তারা পঞ্চাশ বছরের পরিক্রমণের সঙ্গে দেখতে পাই রক্তসমুদ্র পেরিয়ে নতুন অভিযাত্রার সূচনা। ফলে কেবল পথরেখা নয়, রক্তরেখাও আমরা দেখি। এই রক্তদাগের সঙ্গে মেশে, স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের উপান্তে সপরিবার বঙ্গবন্ধু হত্যা, জাতির জনকের রক্ত মিশে যায় একাত্তরের রক্তধারার সঙ্গে। ফলে স্বাধীনতা লাভের জন্য যেমন আমাদের বিপুল মূল্য দিতে হয়েছিল তেমনি স্বাধীনতা-পরবর্তীকালেও অর্জনগুলো বারবার আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে জাতির শরীর।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা সূচিত হয় তার ধারাবাহিকতাতেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি ধনী-গরিব বৈষম্য, দুর্নীতি দূর করা সম্ভব হলে আমরা অচিরেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।

বিকেলে লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন চঞ্চল আশরাফ, হামিম কামাল, চৌধুরী শহীদ কাদের। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী রূপা চক্রবর্তী ও রফিকুল ইসলাম। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী মৌটুসী পার্থ, সন্দীপন দাশ এবং তানভীর আলম সজীব। এ সময় যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন পল্লব সান্যাল (তবলা), মো. আরিফ কোরাইশী (অক্টোপ্যাড), বিনোদ রায় দাশ (কি-বোর্ড) এবং শেখ ফয়েজ পুলক (গিটার)।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২১
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।