বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরে ব্যাটে-বলে সমান দক্ষতা দেখিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলটির বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান করে চট্টগ্রাম। জবাব দিতে নেমে ৪৫ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় সিলেট।
দলীয় ১১ রানে ওপেনার মেহেদী মারুফের (১১) রানআউটের মাধ্যমে বিপর্যয়ের শুরু হয় চট্টগ্রামের। এরপর দারউইস রাসুলিকে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান সিলেটের পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির।
চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোমকে (১) সাজঘরে পাঠান রেজাউর রহমান রাজা। বোলিংয়ে এসে স্পিনার কলিন অ্যাকারমান বিদায় করেন তিনে নামা আল-আমিনকে (১৮)। ২০ বল মোকাবেলা করা এই ব্যাটারকে স্ট্যাম্পিং করেন মুশফিক। এরপর রাজার দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন উসমান খান (২) ও উন্মুক্ত চাঁদ (৫)। ৬২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা চট্টগ্রাম কার্যত আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে বিদায় করে উইকেটের দেখা পান অভিজ্ঞ পেসার মাশরাফি। এরপর উইকেটে থিতু হয়ে বসা আফিফ হোসেনকে (২৫) উইকেটরক্ষক মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করে নিজের দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পান পাকিস্তানি পেসার আমির। আর নিজের শেষ ওভারে নাহিদুজ্জামানকে (৮) ফিরিয়ে ম্যাচে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন রাজা।
বল হাতে ৪ ওভারে ১৪ রান খরচে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন রেজাউর রহমান রাজা। আর সমান ওভারে এক মেডেনসহ মাত্র ৭ রান খরচে ২ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন আমির। এছাড়া মাশরাফি ও অ্যাকারমান নিয়েছেন ১ টি করে উইকেট।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কলিন অ্যাকরম্যানকে (১) বিদায় করেন মৃত্যুঞ্জয়। এরপর জাকির হোসেনকে নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছাতে শুরু করেন নাজমুল হাসান শান্ত। বাংলাদেশের দুই টেস্ট ওপেনার গড়েন ৪৫ বলে ৬৩ রানে জুটি। জয় সহজ করে দিয়ে ২১ বলে ২৭ রান করা জাকির শিকার হন পুষ্পাকুমারার। মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে বাকিটা শেষ করেন শান্ত। ৪১ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। মুশফিক করেন অপরাজিত ৬ রান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২৩
আরইউ