এশিয়া কাপ মাঠে শুধু খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সই আলোচনায় থাকে না, আম্পায়াররাও থাকেন কঠিন পরীক্ষায়। এবারের আসরে নজর কেড়েছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল।
ডিআরএসের পরিসংখ্যান বলছে, মুকুলের দেওয়া ১০টি সিদ্ধান্ত রিভিউয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে মাত্র ৩টি পরিবর্তন হয়েছে, বাকি ৭টিই থেকে গেছে অপরিবর্তিত। অর্থাৎ নির্ভুলতার হার দাঁড়িয়েছে ৭০ শতাংশ। আফগানিস্তানের ইজাতউল্লাহ সাফিও একই সাফল্যের হার নিয়ে শেষ করেছেন। তবে সবচেয়ে নির্ভুল ছিলেন পাকিস্তানি আসিফ ইয়াকুব। তার ৬টি সিদ্ধান্তের মধ্যে মাত্র একটি পরিবর্তিত হয়েছে, নির্ভুলতার হার ৮৩ শতাংশ। বাংলাদেশি গাজী সোহেলও পিছিয়ে ছিলেন না। তার ৫টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ৪টিই সঠিক প্রমাণিত, ৮০ শতাংশ একুরেসি।
অন্যদিকে আফগান আম্পায়ার আহমেদ শাহ পাকতিনের সাফল্য ৭৫ শতাংশ। পাকিস্তানের ফয়সাল আফ্রিদি পিছিয়ে থেকেছেন, তার অর্ধেক সিদ্ধান্তই পরিবর্তিত হয়েছে, নির্ভুলতার মাত্র ৫০ শতাংশ। লঙ্কান আম্পায়ার রবীন্দ্র উইমালাসিরি ও রুচিরা পালিয়াগুরুগের হার ছিল ৫৭ শতাংশ। ভারতের দুই আম্পায়ার বিরেন্দর শর্মা ও রোহান পণ্ডিত যদিও রিভিউয়ে গেছেন, কিন্তু তাদের কোনো সিদ্ধান্তই বদল হয়নি।
বাংলাদেশ এখন আম্পায়ারিংয়ে আলাদাভাবে দৃষ্টি কাড়ছে। আইসিসির এলিট প্যানেলে আছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। আবার নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি শিগগিরই দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন প্রমীলা ওয়ানডে বিশ্বকাপে।
সব মিলিয়ে এবারের এশিয়া কাপে স্পটলাইট খেলোয়াড়দের পাশাপাশি আম্পায়ারদের ওপরও পড়েছে। আর সেই আলোয় সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম বাংলাদেশের মাসুদুর রহমান মুকুল।
এফবি/আরইউ