উইলিয়াম বোসিস্তো ও মাহিদুল ইসলামের ফিফটি ছাড়ানো ইনিংসে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় খুলনা টাইগার্স। জবাব দিতে নেমে ধুঁকতে থাকে চিটাগং কিংস।
বিপিএলের তৃতীয় ম্যাচে চিটাগংকে ৩৭ রানে হারিয়েছে খুলনা। আগে ব্যাট করতে নেমে উইলিয়াম বোসিস্তো ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ঝোড়ো ব্যাটে ৪ উইকেটে ২০৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে খুলনা টাইগার্স। যা তাড়ায় নেমে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানের বেশি করতে পারেনি চিটাগং কিংস।
আগে ব্যাট করতে নামা খুলনা টাইগার্স ওপেনার নাঈম শেখকে (২৬) শিকার করেন আলিস আল ইসলাম। তিনে নেমে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও ভালো কিছু করতে পারেননি। ১৮ বলে ১৮ রান করে খালেদ আহমেদের বলে ফিরতে হয় তাকে। পরে ইব্রাহীম জাদরানকেও তুলে নেন খালেদ।
তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ঠিকই ফিফটি তুলে নেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার উইলিয়াম বোসিস্কো। কিন্তু সঙ্গীর অভাবে খেলতে পারছিলেন না হাতখুলে। তাকে সেই সুযোগটি এনে দেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানের জুটি গড়েন তারা।
যদিও সেই জুটিতে বেশি ভয়ানক দেখা গেছে অঙ্কনকেই। মাত্র ১৮ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ২২ বলে ১ চার ও ৬ ছক্কায় ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অন্যদিকে ৫০ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৭৫ রান আসে বোসিস্তোর ব্যাট থেকে।
চিটাগাংয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট খালেদ ও আলিস।
রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই নাঈম ইসলামকে হারায় চিটাগং কিংস। ৯ বলে ১২ রান করে বিদায় নেন তিনি। আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৮ বলে ১৩ রান করে তিনি শিকার হন আবু হায়দার রনির। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন মিথুনও। তার ব্যাট থেকে আসে ৫ রান। তিনে নামা ওসমান খান করেন ১৮ রান।
বাকিদের এই আসা যাওয়ার মধ্যে একাই টিকে থাকেন শামিম হোসাইন। অপরপ্রান্তে চলছিলো উইকেটের মিছিল। একে একে বিদায় নেন টম ও’কনেল (০), মোহাম্মদ ওয়াসিম (৮), শরিফুল ইসলাম (১)। লড়তে থাকা শামিম ২৩ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ৭৮ রান করে বিদায় নেন ১৯তম ওভারে। তার ৩৮ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ চার ও ৫ ছক্কায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪
আরইউ