ঢাকা: ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের নামেমাত্র অধিনায়ক হিসেবে নয়, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জেতালেন মাহমুদউল্লাহ। জাতীয় দলে সহঅধিনায়কের পদটি নড়বড়ে হয়ে গেলেও ম্যাচসেরা হয়ে মাঠেই জবাব দিলেন এই অলরাউন্ডার।
ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল: প্রথম ইনিংস- ১৬৫/১০, দ্বিতীয় ইনিংস- ৩৭৪/১০
প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল: প্রথম ইনিংস- ২৩০/১০, দ্বিতীয় ইনিংস- ২৭২/১০
ফল: মধ্যাঞ্চল জয়ী ৩৭ রানে
সাত উইকেট হাতে রেখে জয়ের জন্য শেষদিন আরও ১৫১ রান দরকার ছিল দক্ষিণাঞ্চলের। প্রথম ইনিংসে সাত উইকেট নেওয়া মধ্যাঞ্চল অধিনায়ক এদিন শেষ তিনজন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠিয়ে জয় সহজ করলেন। শেষ ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন মাহমুদউল্লাহ। দুই ইনিংসে ৫৬ ওভার বল করে ১৯০ রান দিয়ে নিয়েছেন ১২টি উইকেট। নির্দ্বিধায় ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতে।
সোমবার মাহমুদউল্লাহ ব্যক্তিগত ৬৭ রানে ওপেনার এনামুল হককে সাজঘরে পাঠান। তখনই তৃতীয় দিনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছিল। মিথুন আলীর সঙ্গে চতুর্থদিন জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামেন তাইবুর পারভেজ।
মধ্যাঞ্চলের স্পিনার ইলিয়াস সানির ঘূর্ণিতে ২২ রানের মধ্যে এদিন সাজঘরে ফেরেন মিথুন (১৪) ও শুভাগত হোম (১)। এরপর দ্রুত তাইবুর (২৩) ও সোহাগ গাজীকে (২৩) মাঠছাড়া করেন শহীদ ও শাহাদাত হোসেন।
দলীয় ২৫৫ রানে দলের অষ্টম উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা আব্দুর রাজ্জাক (৭) মাহমুদউল্লাহর শিকার হলেও দক্ষিণের ভরসা হয়ে ছিলেন জিয়াউর রহমান। কিন্তু ডানহাতি অলরাউন্ডারের ২৯তম ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত ৪৫ রানে শহীদের তালুবন্দি হন জিয়াউর। দুই বল বিরতি দিয়ে বিনা রানে রুবেল হোসেনকে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন মাহমুদউল্লাহ।
শেষ ইনিংসে সানির তিন উইকেটও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমটি ড্রয়ের পর দ্বিতীয় রাউন্ড জিতে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে মধ্যাঞ্চল। এক পযেন্ট কমে তাদের পরে মুশফিকুর রহিমের উত্তরাঞ্চল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ২১ জানুয়ারি ২০১৪