চট্টগ্রাম: জয়টা ছিলো প্রত্যাশিত। একটু কঠিন করে তুলেছিল নেপালের পরশ খড়কা ও বিশ্বকর।
এখন বাকি শুধু আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ। অবাক হচ্ছেন? নেপাল হংকংকে হারিয়েছে ৮০ রানে। বাংলাদেশ ২৭ বল ও আট উইকেট হাতে রেখে নেপালের বিপক্ষে তুলে নিয়েছে হেলা ফেলার জয়। তো হংকংয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ বলাটা অতিরিক্ত কিছু কি?
খেলা দেখতে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা ফাহমিদা ইসলাম বলেন,‘জানতাম ম্যাচটা বাংলাদেশ জিতবে। তবুও হংকংয়ের বিপক্ষে নেপাল যেভাবে জিতেছে তাতে একটু শংকা ছিলো। তাদের ব্যাটিং দেখে শংকাটা আরো বেড়েছিল। অবশেষে বাংলাদেশ বিশাল ব্যবধানে জিতেছে। স্বস্তিতে ঘুমাতে পারবো। ’
ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখালো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তাজুল ইসলাম। কেমন লাগছে প্রশ্ন করতেই যেন ক্ষেপে উঠলেন। বললেন,‘বাংলাদেশ দলকে কি মনে করেন? নেপালের সঙ্গে জিতবে না? নেপালের সঙ্গে খেলতে হচ্ছে এটাই তো অপমানজনক। বাংলাদেশ টেস্ট প্লেয়িং দেশ। বাংলাদেশকে কেন বিশ্বকাপের প্রাথমিক পর্বে খেলতে হবে? আমি মনে করি এটা এক ধরণের অপমান। বাংলাদেশের এক একটি জয় আইসিসি কর্তাদের মুখে চপেটাঘাতও বটে। ’
নগরীর চান্দগাঁও থেকে মেয়ে তারান্নুমকে সঙ্গে নিয়ে খেলা দেখতে এসেছে ইয়াসমিন আকতার। বললেন,‘মেয়েটা খুবই ক্রিকেট পাগল। কোনো খেলায় বাংলাদেশ হারলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। বাংলাদেশ জয় হওয়ায় খুবই খুশি সে। রাতে অন্তত শান্তিতে ঘুমানো যাবে। ধন্যবাদ বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদেরও। ’
অবশ্য বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে চট্টগ্রাম ভেন্যু সবসময় ‘লাকি গ্রাউন্ড’ হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অধিকাংশ বড় জয়ের সুচনা হয়েছে এই চট্টগ্রামেই। বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জয় এই চট্টগ্রাম থেকে। ভারতের সঙ্গে টেস্ট ড্র এই চট্টগ্রামেই। ক্রিকেটের জনক ইংল্যান্ডকে হারানোর ইতিহাসও রচিত হয় এই চট্টগ্রামে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠিত ১২টি টেস্টের মধ্যে ৪টা টেস্টই ড্র করেছে বাংলাদেশ। ১৫ ওয়ানডে’র ৭টিতেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এবার নেপালের বিপক্ষে জয় দিয়ে এ ভেন্যুতে টি-টোয়েন্টি’র জয়যাত্রা শুরু করেছে টাইগাররা।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৪