ঢাকা: ভারতের বিপক্ষে মহারণে নামার আগে পাকিস্তানের যে সাবেক ক্রিকেটাররা নিজেদের দলটিকেই এগিয়ে রেখেছিলেন, এবার তারাই শহীদ আফ্রিদির দলটির সমালোচনায় মেতেছেন। এশিয়া কাপের ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ৮৩ রানেই গুটিয়ে যাওয়া পাকিস্তান ম্যাচটি হারে ৫ উইকেটের ব্যবধানে।
জিও চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে পাকিস্তানের সাকেব টেস্ট ক্রিকেটার সিকান্দার বখত জানান, পাকিস্তানের মানুষ দলটির উপর দারুণভাবে বিশ্বাস রাখে। আর যখনই দল তাদের বিশ্বাস ভেঙে দেয়, ভক্তরা সেটি মেনে নিতে পারেনা। তারই ফলশ্রুতিতে পাকিস্তানের এমন সমালোচনা হচ্ছে। আমি দলের সকলকে বলবো অজুহাত দেখানো বন্ধ করো, ভালো ক্রিকেটে ফিরে আসো। কারণ তোমরা শিশু না।
পাকিস্তানের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মোহাম্মদ ইউসুফ এবং সাবেক পেসার সরফরাজ নেওয়াজও আফ্রিদিদের সমালোচনা করেন। মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, ‘যে উইকেটে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, সেই উইকেটেই ভারতের বিরাট কোহলি ম্যাচ বের করে নিয়েছে। তার কাছ থেকে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের শেখা উচিৎ কি করে এমন উইকেটে ব্যাট চালাতে হয়। তাহলে কি আমাদের ব্যাটসম্যানরা শুধু ভালো উইকেটেই ভালো ব্যাট করতে পারে?
পাকিস্তানের আরেক সাবেক দলপতি রশিদ লতিফ বলেছেন, আমি দলের এমন পরাজয়ে হতাশ। এটা শুধু হার নয়, দেখতে হবে কিভাবে তারা হেরেছে। আমাদের বোলাররা ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, আগেই তো ব্যাটসম্যানরা তাদের লড়াই করার মতো পুঁজি গড়ে দিতে পারেনি। পুরোপুরি ব্যর্থ আমাদের ব্যাটসম্যানরা। এমনকি তাদের রানিং বিটুইন দ্য উইকেটেও অনেক সমস্যা দেখা গেছে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলে যাওয়া পাকিস্তানের বর্তমান টেস্ট দলপতি মিসবাহ উল হক জানান, এমন একটি উইকেটে খেলা হয়েছে যেখানে ১৫০ বা ১৬০ রান তোলার চেষ্টা করা যেতো। আমাদের গেমপ্লান সঠিকভাবে কাজে লাগানো হয়নি। ম্যাচের আগেই বোলার নির্ভর হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। ম্যাচ বের করে নেওয়া বিরাট কোহলির থেকে শেখা উচিৎ কি করে কন্ডিশন আর প্রতিপক্ষ বোলারকে সম্মান করে ব্যাট চালাতে হয়।
দেশটির সাবেক লেগ স্পিনার আবদুল কাদির দলের সমালোচনা করে বলেন, ভারতের কাছে হারার চেয়ে খারাপ আর কিছু হতে পারে না। এটা মেনে নেওয়ার মতো নয়। আমাদের খেলোয়াড়দের আরও উজ্জীবীত হতে হবে। ভারতের বিপক্ষে আরেকবার এভাবে হেরে বসলে কোচিং স্টাফদের চাকরিচ্যুত করা উচিৎ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এমআর