মিরপুর থেকে: ‘শিরোনাম’ দেখে বিস্মিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। ২৫ হাজার আসন সংখ্যার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে কিভাবে ৩০ হাজার দর্শক একসঙ্গে খেলা দেখে? হিসেবটা একেবারে সহজ।
এবার প্রশ্নটা মাথায় আসতেই পারে যে, আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি দর্শক কিভাবে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করলো? গেটের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা উৎকোচের বিনিময়েই তাদের দিয়েছেন প্রবেশের সুযোগ। আর বিভিন্ন গেটের দায়িত্ব থাকা পার্টটাইম কিছু যুবকের কাছে অনেকেই রাজধানীর বিভিন্ন আসনের এমপির ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে টিকিট ছাড়াই প্রবেশ করেছেন স্টেডিয়ামে।
দাঁড়িয়ে থাকা দর্শকরাই কি তাহলে টিকিট ছাড়া স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছেন। না, সবাই না। বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ শুরু হতে বিলম্ব হয়েছে দুই ঘন্টা। এই ফাঁকে অনেকেই বের হয়েছিলেন স্টেডিয়াম থেকে। যারা একটু দেরিতে ঢুকেছেন তাদের সিট দখল করেছেন তারা।
ম্যাচ শুরুর (রাত সাড়ে ৯টা) পর যেসব টিকিটধারীরা স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে চাচ্ছেন তাদের প্রথম বিপত্তি পোহাতে হচ্ছে স্টেডিয়াম গেটে। সঙ্গে টিকিট থাকার পরও তাদের স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। হাতে টিকিট রয়েছে এমন তিন তিন-চারশ দর্শক এখনো অপেক্ষমান স্টেডিয়ামের এক নম্বর গেটে। পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে গেট পেরোতে হচ্ছে তাদের।
সর্বশেষ পরিদর্শনে দেখা গেছে, স্টেডিয়ামের এক নম্বর গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাইরে টিকিট হাতে অপেক্ষমান দর্শকরা। গেট পেরোলেই যে ফাইনাল দেখতে পারবেন তারও নিশ্চয়তা কোথায়? গ্যালারিতে যে চুল পরিমান জায়গাও অবশিষ্ট নেই!
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৬
এসকে/আরএম