দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট নিয়ে তাইজুলের মুখ থেকে এমন বর্ননা শোনার পর খুব সহজেই অনুধাবন করা যায় সফরকারী বোলারদের ওই কন্ডিশনে কতটা যুঝতে হয়। কতটা কাঠখড় পুড়িয়ে তবেই উইকেট নামক সোনার হরিণের দেখা পেতে হয়।
সন্দেহ নেই, ২০০৮ সালের পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ায় বাংলাদেশ দলের অধিকাংশের জন্যই কন্ডিশনটি দারুণ কঠিন ছিল। একে তো বিরুপ কন্ডিশন তার উপরে অনভিজ্ঞতা; এই দুইয়ের যোগফলেই সফরকারীরা ৩৩৩ এবং ইনিংস ও ২৫৪ রানের লজ্জার হার নিয়ে টেস্ট সিরিজ শেষ করেছে। হারের অনুসঙ্গ হিসেবে সাথে মুশফিক ও হাথুরুসিংহে কাণ্ডতো ছিলই।
যা হোক দলের বাকি সতীর্থের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার অদ্ভুত কন্ডিশনে বল হাতে কলকে পাননি টাইগারদের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামও। পচেফস্ট্রুমে সিরিজের প্রখম টেস্ট না খেলা তাইজুল ব্লুমফন্টেইনে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৭ ওভার বল করে ১৪৫ রান দিয়ে থেকেছেন উইকেটশূন্য। দ্বিতীয় ইনিংসেতো বোলিংয়ের সুযোগই পেলেন না।
তাই সিরিজটি তার জন্য মোটেও সুখকর ছিল না বলতে এতটুকুও দ্বিধা করলেন না। তবে একথা বলেই থামলেন না এই টাইগার বাঁহাতি স্পিনার। বললেন, তার তিন বছরের ক্যারিয়ারে এটিই ছিল সবচাইতে কঠিনতম সফর। সেটা শুধু উইকেটের বিবেচনায়ই নয়, আবহাওয়ার বিবেচনায়ও বটে।
তাইজুল জানান, ‘বাইরের অন্যান্য দেশের চেয়ে দ. আফ্রিকা আমার কাছে বেশি কঠিন মনে হয়েছে। ওখানকার আবহাওয়া এই গরম-এই শীত। শ্বাসকষ্টের ব্যাপারও আছে। আমরা হয়তো খাপ খাওয়াতে পারতাম তাতে বেশি দিন সময় লাগতো। কিন্তু তারপরও আমরা যতটুক সময় পেয়েছি তারমধ্যেই খাপ খাইয়ে নিতে চেষ্টা করেছি। আমার কাছে সহজ মনে হয়নি। ’
স্বাগতিক প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষে ১২ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন তাইজুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ১৫ অক্টোবর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি