কথা বলতেন মারমার কাটকাট। এক নায়কতান্ত্রিক সরকার প্রধানের মতো সদা সর্বদা যুদ্ধংদেহী এক মনোভাব তার মধ্যে বিরাজ করতো।
অথচ রোববার (১৪ জানুয়ারি) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির মাঠে সেই অগ্নিশর্মা হাথুরুসিংহেই তার লঙ্কান টিম ম্যানেজমেন্ট ও শিষ্যদের সাথে কতই না প্রাণ খোলা। হেসে হেসে কথা বলছেন, বেশ আন্তরিকতার সাথে প্লেয়ারদের দিচ্ছেন নির্দেশনা। যা থেকে বঞ্চিত থেকেছেন মাশরাফি, সাকিব ও মুশফিকরা!
১৫ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠেয় তিন জাতির টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় পা রেখেছে হাথুরুসিংহে ও তার দল শ্রীলঙ্কা। রোববার ছিল তাদের প্রথম দিনের অনুশীলন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া বিভাগের দেয়া সময়সূচি অনুযায়ী তাদের অনুশীলন সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শীতের কুয়াশা ভেদ করে হাথুরুসিংহে তার দল নিয়ে মাঠে উপস্থিত হয়েছেন আধা ঘণ্টা আগেই।
মাঠে এসেই রক ব্যান্ডের মিউজিক ছেড়ে নিজের ও দলের আইসব্রেকিংয়ের কাজ সেরে নিয়েছেন। এরপর হালকা গা গরমের মধ্য দিয়ে শুরু করেছেন অনুশীলন।
হঠাৎ করেই হাথুরুকে এমন নতুন রুপে দেখে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ যেন আটকে রাখতে পারলেন না বাংলাদেশ ক্রিকেটের নাম প্রকাশ না করা এক কর্মকর্তা, ‘আমরা তো ওনার কাছে ক্রীত দাসের মতোই ছিলাম। আমাদের সঙ্গে হেসে কথা বলতে ওনার ইগোতে লাগতো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস