শুধু অস্ত্রোপচার করেই ক্ষান্ত থাকেননি এই অজি শল্যবিদ। অস্ত্রোপচার পরবর্তী পুনর্বাসন কী হবে তাও মাশরাফিকে বাতলে দিয়েছেন।
হাঁটুতে মাশরাফির সবশেষ অস্ত্রপচারটি তিনি করেছেন ২০১১ সালে। এরপর অবশ্য মাশরাফিকে আর তার শরণাপন্ন হতে হয়নি। কেননা ইয়াংয়ের ছোঁয়ায় দিব্যি সুস্থ আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাণভোমরা।
বলা বাহুল্য, এই ইয়াংয়ের জন্যই চোট জর্জর হাঁটু নিয়ে আজও দেশের হয়ে খেলতে পারছেন এবং আগামীতে খেলার স্বপ্ন দেখার সাহস করছেন ৩৪ বছর বয়সী মাশরাফি। তাইতো আল্লাহর পরেই তাকে স্থান দিচ্ছেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’।
‘আমার প্রায় সাতটি অস্ত্রোপচার তার হাত দিয়ে হয়েছে। এটা বলতে পারেন যে আমি এখনও খেলছি ওপরে আল্লাহ আছেন আর যতটুকু জানি উছিলা হিসেবে তিনি আছেন। উনিই আমার সব কিছুই করেছে। অপারেশনের পর পুনর্বাসন কিভাবে কি করতে হবে তাও বলে দিয়েছেন। ’
মাশরাফি আরও যোগ করেন, ‘একের পর এক সার্জারি করতে করতে আমার হাঁটুর অবস্থা ক্রিটিক্যাল হয়ে গিয়েছিল। সবশেষে ২০১১ সালের অপারেশনের পর আর কোনো সমস্য হয়নি। এটা সত্যি সে পেশাদার চিকিৎসক কিন্তু সে তার মন থেকেই আমাদের সার্ভিসটা দিয়েছে। এটা অসাধারণ। ’
শুধু মাশরাফিই কেন? বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা যখনই ইনজুরিতে পড়েছেন তখনই বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) ইয়াংকে স্মরণ করেছে। পেসার শাহাদাৎ হোসেন, মোহাম্মদ শহীদ, আবুল হাসান রাজু এবং তামিম ইকবালের কাঁধের ইনজুরিও তার জাদুকরি ছোঁয়ায় সেরে উঠেছে।
তাইতো ডেভিড ইয়াংকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অদৃশ্য বন্ধু বলে আখ্যা দিলেন মাশরাফি, ‘এখন এমন একটা অবস্থা আছে হাঁটুর বিষয়ে অন্য আর কারো কাছে গেলে তেমন আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায় না। আমি না আমাদের অধিকাংশ প্লেয়ার যারা হাঁটু ও পিঠের ইনজুরির অস্ত্রোপচার হয়েছে তা তিনিই করেছেন। আমি বলতে পারি বাংলাদেশ ক্রিকেটের অদৃশ্য একজন বন্ধু তিনি। যদি দেখেন অধিকাংশরা ইনজুরড হয়ে তার কাছ থেকেই অপারশেন করে ফিরে এসেছে। ’
বাংলাদেশ অর্থপেডিকস সোসাইটির আমন্ত্রণে ডেভিড ইয়াং বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। সেখান থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আমন্ত্রণে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে বিসিবি চিকিৎসক ও ফিজিওদের অংশগ্রহণে এক কর্মশালায় অংশ নেন এই প্রখ্যাত শল্যবিদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম