যা অতিক্রম করতে গিয়ে চতুর্থ দিনে ৮১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দেয় মাহমুদউল্লাহ দল। ম্যাচ বাঁচানো যাবে তো? এমন প্রবল চাপ নিয়েই পঞ্চম দিনের ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ।
জয় না হোক ন্যূনুতম ড্র। এমন মানসিকতা নিয়ে প্রবল চাপকে উড়িয়ে দিয়ে প্রথম ইনিংসের ১৭৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ঐতিহাসিক এক পটভূমির রচনা করেন মুমিনুল। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টের দুই ইনিংসে তুলে নেন ব্যাক-টু-ব্যাক সেঞ্চুরি (১০৫)। আর লিটন দাস খেলেন ৯৪ রানের ইনিংস।
বলা বাহুল্য, এমন ব্যাটিংয়ের পর তারা ফিরে যাওয়ার পরেও কিছুটা শঙ্কার তৈরী হয়েছিল, শেষ রক্ষা হবে তো? অবশেষে হয়েছে, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেকের ব্যাটে যখন বাংলাদেশ পাল্টা জবাব দেয়া শুরু করলো তখনই এসে ম্যাচ থামানোর প্রস্তাব দিলেন লঙ্কান দলপতি। ব্যাস, ম্যাচ ড্র হয়ে গেল।
এমন অম্লমধুর একটি ড্র’র পর ঢাকায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে আরও ভালো কিছুর জন্য মুখিয়ে আছেন টাইগারদের সাবেক দলপতি মুশফিকুর রহিম, ‘সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম টেস্ট দারুণ হয়েছে। আমরা মুখিয়ে আছি ঢাকাতে ভালো করার ব্যাপারে। আমাদের দারুণ সুযোগ আছে ১-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে নেয়ার। ’ এই অনুভূতিটা বলে বোঝানো যাবে না: মুশফিক
আর এই ক্ষেত্রে তাকে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে ২০১৬ সালের অক্টোবরে ইংল্যান্ড ও গেল বছরের আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট জয়ের সুখস্মৃতি। চট্টগ্রামে ব্যাটিংবান্ধব উইকেট পেলেও মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যে উইকেটেই খেলা হোক না কেন বিগত এই দুই সিরিজের টেস্ট জয়ই লঙ্কান বধে মুশফিককে লোভাতুর করে তুলছে।
‘উইকেট যদি কঠিন হয় প্রতিপক্ষও কিন্তু সেই কঠিন ব্যাপারটার মধ্য দিয়ে যাবেই। উইকেট নিয়ে চিন্তা করার খুব বেশি সময় আসলে নেই। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার সাথে আমরা যেরকম উইকেটে খেলেছি তা কিন্তু সহজ ছিল না। আমি মনে করি যে উইকেটেই খেলিনা কেন আমাদের প্রয়োগটা সঠিকভাবে করতে হবে। সেটা করতে পারলে ইতিবাচক ফলাফল আসবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম