দিন শেষে ২৬ রানের জয় এসেছে শেখ জামাল শিবিরে। এদিন এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে চমকে দিয়েছিলেন আবাহনীর কাণ্ডারি মাশরাফি বিন মর্তুজা।
অনভ্যস্ত বলেই হয়তো এদিন ব্যাটে হয়নি মাশরফির। কিন্ত দলের স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরা কেন পারলেন না সেটা কিন্তু প্রশ্নবোধক থেকেই যাচ্ছে। টেলএন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ ৩২ বলে ৩৫, তাসকিন আহমেদ ২৮ বলে ৩১ ও সানজামুল ইসলাম ১৯ বলে ২৭ রানের ইনিংসটি না খেললে আলবৎ হারের ব্যবধানটি আরও বেশি হতো।
দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেছেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। অধিনায়ক নাসির হোসেন ৫৫ বলে করেছেন ২৮ রান। আর মোসাদ্দেক হোসেন ইনিংসের সমাপ্তি টেনেছেন ২৭ রানে। টপঅর্ডার নাজমুল হোসেন শান্ত ০, হানুমা ভিহারির সংগ্রহ ২৩। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে এসেছে ৫।
শেখ জামালের হয়ে বল হাতে আবু যায়েদ রাহি ও রবিউল হক ৩টি করে উইকেট দখল করেন। সোহাগ গাজী, নাজমুল ইসলাম, ইলিয়াস সানি ও জিয়াউর রহমান নিয়েছেন ১টি করে।
মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা শেখ জামাল নিজেদের প্রথম উইকেট খুইয়েছে দলীয় ৯০ রানে। মিরাজের ঘূর্ণিতে মিঠুনের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৫৬ রানে ফেরেন সৈকত আলী। এই রান সগ্রহ করতে তিনি চারটি ৬ ও দুটি ৬ হাঁকান।
সৈকতের বিদায়ের পর ৪ রান যোগ না হতেই ব্যক্তিগত ০ রানে ফিরেছেন রাকিন আহমেদ। এবারও ঘাতক সেই মিরাজ। এরপর তৃতীয় উইকেটে তানবীর হায়দারকে নিয়ে বেশ শক্ত হাতেই আবাহনী বোলারদের মোকাবেলা করছিলেন ভারতের উন্মুক্ত চাঁদ। তবে খুব বেশি দূর ইনিংসটিকে টেনে নিতে পারেননি। দলীয় ১৭৫ ও ব্যক্তিগত ৩১ রানে রান আউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নিয়েছেন তার সঙ্গী তানবীর হায়দার।
তানভীর ফিরে গেলেও উইকেটের অপর প্রান্তে থাকা চাঁদ বোধ হয় পণই করেছিলেন, সেঞ্চুরি না করে ফিরবেন না। করলেনও তাই। তুলে নিলেন ব্যাক-টু-ব্যাক সেঞ্চুরি। তখনও চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের স্বপ্ন দেখছিল শেখ জামাল।
কিন্তু আৎকা সেখানে বাধ সাধলেন মাশরাফি। ৪৩তম ওভারে একেবারে প্রথম বলেই কট অ্যান্ড বোল্ড করে দিলেন সেঞ্চুরিয়ান উন্মুক্ত চাঁদকে (১০১)। এক বল বিরতিতে মিঠুনের হাতে তুলে দিলেন জিয়াউর রহমানকে (৬)।
ফলে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গেল শেখ জামাল। মাশরাফির পর উইকেট ভাঙ্গার প্রতিযোগিতায় শামিল হলেন তাসকিন আহমেদ। ১৯ রানে নুরুল হাসান সোহানকে প্যাভিলনের পথ দেখালেন এই গতি তারকা। ফেরালেন রবিউল ইসলামকেও (১)।
আর ব্যক্তিগত ৩ রানে সোহাগ গাজীকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন মাশরাফি। যা তাকে এনে দিল এই মৌসুমে ৩৫টি উইকেট। এরপর অবশ্য আর কোন উইকেটের পতন ঘটেনি। ব্যক্তিগত ১৯ রানে ইলিয়াস সানি ও ৮ রানে নাজমুল ইসলাম অপরাজিত থেকে ৮ উইকেটে দলকে এনে দেন ২৫৬ রানের মাঝারি সংগ্রহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ২৭ মার্চ, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম