ফলে বাধ্য হয়েই এই বিভাগেও কোচ খুঁজতে হচ্ছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটিকে। এই ক্ষেত্রে অবশ্য তাদের পছন্দ হ্যালসলের মতোই ভিনদেশি কেউ।
মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) সংবাদ মাধ্যমকে একথা জানালেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস।
ফিল্ডিং কোচের নিয়োগ প্রসঙ্গে জালাল ইউনুস বলেন, ‘ওখানে আরেকজনকে দেওয়া হবে। আমাদের মূলত দরকার ফিল্ডিং কোচ। সে (হ্যালসল) তো ফিল্ডিং কোচের কাজ করছিল। বিদেশি কোচ খোঁজা হচ্ছে। ’
আর হেড কোচ নিয়োগের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘আমরা এখনও চেষ্টা করছি। পার্টিকুলার কোনো কোচ এখনও আমরা পাইনি। কিন্তু চেষ্টা করা হচ্ছে জুন মাসে ওয়েস্ট উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের আগেই নিয়োগ দেওয়া। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। আমাদের যেসব ক্রাইটেরিয়া আছে সেসব ক্রাইটেরিয়া অনেকে ফুলফিল করছে না, যার কারণে দেরি হচ্ছে। ’
হেড কোচ না থাকায় সদ্য সমাপ্ত নিদাহাস ট্রফিতে কাজ চালাতে হয়েছে পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশকে দিয়ে। কিন্তু আসন্ন কোনো সিরিজে তিনি আবারও এই দায়িত্ব পালন করবেন কি না সে বিষয়ে খোলাশা করে কিছু বলেননি জালাল ইউনুস। চাপিয়ে দিলেন বোর্ডের ওপর।
‘কোর্টনি ওয়ালশ থাকবে কি থাকবে না সেটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। এটা বলা যাচ্ছে না কারণ তার দায়িত্ব নিদাহাস ট্রফি পর্যন্তই ছিল। ’
এদিকে, বাংলাদেশ টিমের পরামর্শক হিসেবে আসছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞ গ্যারি কারস্টেন। এপ্রিলে শুরু হতে যাওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শেষে তার সঙ্গে চুক্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটি প্রধান।
হয়তো জানেন সবাই। তারপরেও বলছি। হাথুরুর বিদায়ের পর হেড কোচ খোঁজাখুঁজির ধারাবাহিকতায় বিসিবিতে এসে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন রিচার্ড পাইবাস ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিমন্স। তবে তারা এখন অন্য দেশের কোচ।
পরবর্তীতে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও ত্রিদেশীয় সিরিজে কোচ ছাড়াই খেলে বাংলোদেশ। টিমের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। আর সদ্য শেষ হওয়া নিদাহাস ট্রফিতে টাইগারদের বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, ২৭ মার্চ, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম