ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ঢাকার জয়ে ৮ উইকেট শাহাদাতের

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৮
ঢাকার জয়ে ৮ উইকেট শাহাদাতের শাহাদাত হোসেন-ছবি: সংগৃহীত

এনসিএলের দ্বিতীয় ধাপের খেলায় চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে ২১৪ রানের বিশাল জয় পেয়েছে ঢাকা বিভাগ। দলের জয়ে ৮ উইকেট নিয়ে বড় ভুমিকা রেখেছেন পেসার শাহাদাত হোসেন।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অনুষ্ঠিত চারদিনের ম্যাচে ঢাকার দেওয়া ৪৮২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২৬৭ রানে থামে চট্টগ্রামের ইনিংস। ১১.২ ওভার বল করে ৪৬ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে চট্টগ্রামের পরাজয় ত্বরান্বিত করেন জাতীয় দলের একসময়ের পেসার শাহাদাত।

চট্টগ্রামকে প্রথম ইনিংসে ১৪২ রানে ধসিয়ে দেওয়ার পেছনেও শাহাদাতের ৪ উইকেট তুলে নেওয়া বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে রনি তালুকদারের ৫৯, তাইবুর রহমানের ৬৩ রানের উপর ভর করে ২৩৮ রান সংগ্রহ করেছিল ঢাকা। চট্টগ্রামের হয়ে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে শাহাদাত হোসেনের পেস বোলিংয়ের সামনে মাত্র ১৪২ রানেই গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম।  

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে দুই ওপেনার আবদুল মাজিদের সেঞ্চুরি ও রনি তালুকদারের ডাবল সেঞ্চুরির উপর ভর করে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৩৮৫ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে ঢাকা। রনি ২২৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪৮২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মুমিনুল হকের ৬২, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ৬০ রানের ইনিংস সত্ত্বেও ২৬৭ রানেই সব উইকেট হারিয়ে ২১৪ রানের পরাজয় বরণ করে চট্টগ্রাম।

প্রথম ইনিংসে ৫৯ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৮ রান করার সুবাদে ম্যাচসেরা হয়েছেন রনি তালুকদার।

অপরদিকে সিলেটে এনসিএলের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে সিলেটকে ইনিংস ও ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে ঢাকা মেট্রো। শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে শাদমান ইসলামের সেঞ্চুরিতে ৪২৬ রান তুলে ঢাকা মেট্রো। সিলেটের হয়ে ৬ উইকেট পান এনামুল হক জুনিয়র। জবাবে ২১৫ রানে থামে সিলেটের প্রথম ইনিংস। ফলোঅন করতে নেমে রাজিন সালেহ’র ৬০ রান ও জাকির হোসেনের ৭২ রানের ইনিংস ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে না পারায় মাত্র ১৭০ রানেই শেষ হয় সিলেটের ইনিংস। ৫ উইকেট তুলে দেন আসিফ হোসেন।

অন্যদিকে রংপুর বিভাগ ও বরিশাল বিভাগের প্রথম পর্বের ম্যাচটি ড্র হয়েছে। আরিফুল হকের ২৩১ রানের অনবদ্য ইনিংসে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫০২ রানের সংগ্রহ গড়েছিল রংপুর। জবাবে ফজলে মাহমুদের ১৯৫ রান ও সোহাগ গাজীর ১২৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৪৫৮ রানে থামে বরিশালের প্রথম ইনিংস। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান তুলতেই ড্রতে শেষ হয় চারদিনের ম্যাচ। শেষদিনে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নাঈম ইসলাম।

এছাড়া ড্র’য়ে শেষ হয়েছে খুলনা বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগের খেলাও। খুলনার প্রথম ইনিংসে তুষার ইমরানের সেঞ্চুরিতে ২১০ রান সংগ্রহের জবাবে মিজানুর রহমান ও জহুরুল ইসলামের সেঞ্চুরিতে ৫৫২ রান তুলে রাজশাহী। খুলনার হয়ে ৭ উইকেট তুলে নেন আফিফ হোসেন। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে আনামুল হক, তুষার ইমরান ও সৌম্য সরকারের সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেট হারিয়ে খুলনা ৪৬৭ রান তুলতেই খেলা ড্র ঘোষণা করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৮
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।