চলতি বছর আর মাঠে নামার কোনো সম্ভাবনাই নেই সাকিবের। আগামী বছরও কবে সেটা পারবেন এখনই বলতে পারছেন না।
অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. গ্রেগ হয়ের কাছে পরামর্শের জন্য শুক্রবার দেশ ছাড়েন বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব। যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের জানিয়ে যান একরাশ হতাশা। অবশ্য পাশাপাশি আশাও দেখান।
সাকিব বলেন, ‘তিন মাসের যে টাইমফ্রেম তাতে এক সপ্তাহর বেশি হয়ে গেল। এখন পর্যন্ত তো আমি আশাবাদী যে প্রথম থেকেই খেলতে পারবো। এখন অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছি, ওরা যদি বেটার কোনো ট্রিটমেন্ট দিতে পারে তাহলে আরও তাড়াতাড়ি হয়তো সারার সম্ভাবনা থাকবে। ’
‘এখন মূল যেটা হয়েছে, ইনফেকশনটা দূর করতে হবে। ওটা চলে গেলেই আসলে বোঝা যাবে কত সময় লাগবে। আর মেইন সার্জারি যেটা করার কথা ওটা হলে ছয় থেকে আট সপ্তাহ। নরমালি ছয় সপ্তাহ লাগে। দুই সপ্তাহ বেশি ধরা হয়। যদি ছয় সপ্তাহ হয় তাহলে বিপিএলের বেশ আগেই ফিট হয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। ’
‘যদি শুধু সার্জারিটা করা লাগতো তাহলে আমার আসলে খুব একটা খারাপ লগতো না। যেহেতু এটা অনেক আগের ইনজুরি, আমি জানি যে আমার সার্জারি করা লাগবে। মানসিকভাবে আমি প্রস্তুত ছিলাম। আসলে ইনফেকশন আমার সবথেকে বড় টেনশনের জায়গাটা। কারণ, ওটা যতক্ষণ পর্যন্ত না জিরো পার্সেন্টে আসবে, কোনো সার্জন হাত দেবে না। ওটা হাত দিলে পরে বোনে (হাড়) চলে যাবে আর হাড়ে চলে গেলে পুরো হাত নষ্ট। এখন আমার মেইন পয়েন্ট হচ্ছে কিভাবে ইনফেকশনটা সারানো যায়। অস্ট্রেলিয়ায় আমি ইনফেকশনের ট্রিটমেন্টের জন্যই যাচ্ছি, আর কোনো ট্রিটমেন্টের জন্য যাচ্ছি না। ’
ইনফেকশন ঠিক হলে যাবেন ছুরি কাঁচির নিচে। তবে সেটা শতভাগ ঠিক হবে না জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘ইনজুরির দিক থেকে এটাই তো আসলে সব থেকে বড়। এর আগে যে সার্জারিটা হয়েছিল ওটা খুব বেশিদিনের না যদিও ওটা প্রথমেই যদি সঠিক ট্রিটমেন্ট হত তাহলে অনেক কম সময়ে হয়ে যেতো। তবে ওটা আসলে অত বেশি চিন্তার ছিল না। এটা আমার কাছে মনে হয় বেশি। একটা জিনিস যে, হাতটা পুরোপুরি তো আর ওইভাবে ঠিক হবে না কিন্তু ক্রিকেট খেলার মতো ঠিক করতে হবে আঙুলটা। ’
‘ওই আঙুলটা আর কখনো শতভাগ ঠিক হবে না। কারণ, এটা হচ্ছে হাড্ডিটা যেটা নরম হাড্ডি। এটা আর কখনো জোড়া লাগার সম্ভাবনা নাই। অতএব পুরোপুরি ঠিক হবে না কিন্তু সার্জারিটা হবে এমন যে, ওরা এমন একটা সিচুয়েশনে এনে দিবে যেখান থেকে আমি ব্যাট-ট্যাড ভালোভাবে ধরতে পারবো, ক্রিকেট খেলাটা চালাতে পারবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৮
এমকেএম/এমএমএস