২৭ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাবনা থাকলেও নির্বাচন কমিশন থেকে এখনও এই মর্মে কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসায় কবে অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। আর সেই শঙ্কাই বিপিএলকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।
কেননা জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে পিছিয়ে জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হলে ৫ জানুয়ারি বিপিএল মাঠে গড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। আর তখন অনুষ্ঠিত না হলে ওই বছরের জুন পর্যন্ত আপাতদৃষ্টিতে মাঠে গড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
কারণটিও বেশ স্পষ্ট। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ সিরিজে অংশ নিতে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল দেশ ছাড়বে। যেহেতু বিপিএল আয়োজনে নুন্যতম ৪৩ দিন প্রয়োজন সেহেতু জানুয়ারির শেষে টুর্নামেন্ট আয়োজন করলেও শেষ হতে প্রায় মার্চ মাসে ঠেকবে। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডে সিরিজ থাকায় জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন না।
আর বিপিএলের মতো আসরে মাশরাফি, মুশফিকরা থাকবেন না সেটা কী করে হয়? এসব কারণেই এবার বিপিএল মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
এদিকে মার্চে কিউইদের বিপক্ষে সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরে এপ্রিলে আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য দেশ ছাড়বে টাইগার শিবির। সেই সিরিজ চলবে মে পর্যন্ত। আইরিশ মিশন শেষে টাইগাররা বিশ্বকাপে অংশ নিতে চলে যাবে ইংল্যান্ডে।
বিশ্বকাপের পরের চার মাস বর্ষা মৌসুম। কাজেই আগামি বছরের অক্টোবরের আগে বিপিএল মাঠে গড়ানোর সুযোগ নেই।
সংকটের শেষ এখানেই নয়। সম্প্রচার নিয়েও আছে ঝক্কি। কাজেই দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচাইতে জাঁকজমকপূর্ণ এই আসরটি এবার অনেকটাই ধুঁ ধুঁ মরিচীকা।
যদিও বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির প্রধান মোহাম্মদ জালাল ইউনুস আসন্ন সংকট নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু সমস্যার কথা উল্লেখ করতে ভুল করেননি।
‘বিপিএল ৪ অথবা ৫ জানুয়ারি শুরু হবে। এখনও সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেনি, তাই যদি পিছিয়ে যায় তাহলে আমরা সম্বন্বয় করে নেব। পিছিয়ে দেব। কিছু সমস্যা তো হবেই। যেমন সম্প্রচারে সমস্য হবে। তবে সে সমস্যা আমরা কাটিয়ে উঠবো। ’
সোমবার (৮ অক্টোবর) বনানী কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৮
এইচএল/এমএইচএম