ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিফলে ইমামের সেঞ্চুরি, সিরিজে এগিয়ে গেল দ. আফ্রিকা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
বিফলে ইমামের সেঞ্চুরি, সিরিজে এগিয়ে গেল দ. আফ্রিকা পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা-ছবি: সংগৃহীত

ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ইমাম-উল-হক। কিন্তু প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান রিজা হেনড্রিকসের ৮০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস আর বৃষ্টি বাগড়ায় বিফলে গেল ইমামের দুর্দান্ত ইনিংস। ফলে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে জিতে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা।

শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় পাকিস্তান। কিন্তু চতুর্থ ওভারেই ফখর জামানের বিদায়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায়।

রান না নিতে পারার যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হতে গিয়ে বেউরান হ্যানড্রিকসের বলে সুইপ করতে গিয়ে কাগিসো রাবাদার হাতে ক্যাচ দিয়ে অভিষিক্ত বোলারকে প্রথম ওয়ানডে উইকেটের স্বাদ দেন এই পাকিস্তানি ওপেনার।

শুরুর সেই ধাক্কা সামলে এগিয়ে যেতে থাকেন বাবর আজম ও ইমাম-উল-হক। ডেল স্টেইনের শিকার হওয়ার আগে ফিফটি করেন বাবর। আর প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ৮৬ রানে আউট হওয়া ইমাম এই ম্যাচে সেঞ্চুরি মিস করেননি। তবে সেঞ্চুরি হাঁকানোর দুই বল পরেই প্রোটিয়া বোলার তাবরেজ শামসিকে ডাউন দ্য ট্র্যাকে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফেরেন।

সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে একটা কীর্তিতেও নাম লিখিয়েছেন ইমাম। তার ওপেনিং সঙ্গী ফখর জামানের পর ওয়েনডেতে ইনিংসের হিসেবে দ্বিতীয় দ্রুততম ১০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন পাকিস্তানি গ্রেট ইমজামাম-উল-হকের এই ভাতিজা। মিডল ওভারগুলোতে তার ইনিংসটি একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হওয়ার যোগ্য। মাত্র ৮ বাউন্ডারি হাঁকিয়েও স্ট্রাইক রেট ভালো রেখে ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি।  

ইমামের সেঞ্চুরি ছাড়াও মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক ও ইমাদ ওয়াসিমের ইনিংসগুলোর সম্মেলনেই ৩০০ রান পার করে পাকিস্তান। সিরিজে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেওয়া হাফিজ ডেথ ওভারগুলোতে বেশ কার্যকর ব্যাটিং উপহার দিয়েছেন। মালিকের ৩২ ও ইমাদের ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস দুটো শেষ দশ ওভারে পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছে।

বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে সফল বোলার স্টেইন। স্লগ ওভার বল করেও ৪৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন এই ফাস্ট বোলার। তবে নিজের শেষ ওভারের শেষ বলে হাসান আলীকে আউট করে হাঁটুর ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছেড়ে প্রোটিয়া শিবিরে অস্বস্তি ছড়িয়ে গেছেন।

বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে ৭৯ রানের মধ্যে কুইন্টন ডি কক ও হাশিম আমলার উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আমলাকে (২৫) বাবর আজমের ক্যাচে পরিণত করেন হাসান আলী। আর শাদাব খানের থ্রোয়ে রান আউটের শিকার হয়ে ফেরেন ডি কক।  

তবে ম্যাচের উত্তেজনাকর মুহূর্তে বৃষ্টি বাগড়া দিলে হতাশ হতে হয় দর্শকদের। ম্যাচের ফলাফল যখন সম্ভাব্যতায় পৌঁছানোর পথে ঠিক তার ৩ ওভার আগেই বৃষ্টিতে ম্যাচ থেমে যায়। তবে বৃষ্টিও একসময় থামে আর ম্যাচও শুরু হয়।  

তবে ফের একবার বৃষ্টি বাগড়া দেওয়ার আগেই ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে জয় নিশ্চিত করেন রিজা হ্যানড্রিকস ও অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেট শতরান যোগ করেন। তবে দল জেতালেও কপাল খারাপই বলতে হবে হ্যানড্রিকসের। ৯০ বলে ৮৩ রান করে অপরাজিত থাকেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। বৃষ্টি বাগড়া না দিলে নিশ্চিত সেঞ্চুরি পেয়ে যেতেন তিনি। তবে দলকে জয় এনে দিয়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দিয়ে নিশ্চয়ই আক্ষেপ ঘুচে গেছে তার।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।