ওমানে চলছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের আয়োজনে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলো নিয়ে টি-টোয়েন্টি বাছাইপর্ব। এই বাছাইপর্বের একটি ম্যাচে কুয়েতের মুখোমুখি হয়েছিল ক্রিকেটের নবীন সদস্য সৌদি আরব।
কুয়েতের ছুড়ে দেওয়া ১৩৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৫ বলে ফিফটি করার পর ২৮ বলে ৮৩ রানের ম্যাচ জেতানো বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন ফয়সাল। দুর্দান্ত এই ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ৭ চার ও ৭ ছক্কায়। ফয়সালের সৌজন্যেই মাত্র ৯.১ ওভারে জয় তুলে নেয় সৌদি আরব।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ভারতের অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংয়ের দখলে। ২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১২ বলে ফিফটি তুলে নেন এই বাঁহাতি বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। ওই ম্যাচেই এক ওভারে ৬ ছক্কা মারার অনন্য কীর্তির মালিক বনে যান তিনি।
টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটির মালিক নিউজিল্যান্ডের কলিন মুনরো। ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ১৪ বলে ফিফটি তুলে নেন এই কিউই ব্যাটসম্যান।
কুয়েতের বিপক্ষে জয়ে পাওয়ায় টুর্নামেন্টের ফাইনালে পা রেখেছে সৌদি আরব। প্রতিপক্ষ এখন পর্যন্ত অপরাজিত কাতার। মূলত কুয়েতের বিপক্ষে ম্যাচে দ্রুত জয় পাওয়াতেই ফাইনালের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে সৌদি আরবের। কেননা, বাহরাইন ও কুয়েতের পয়েন্টও সৌদির সমান। শুধু রান রেটে এগিয়ে থাকাতেই কাতারের সঙ্গী হতে পেরেছে দলটি।
ফয়সাল খানের ইনিংসটি পেছনে ফেলে দিয়েছে উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান শাই হোপ ও পল স্টার্লিংয়ের কীর্তিকে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৬ বলে ফিফটি করেছিলেন হোপ। আর ২০১২ সালে দুবাইয়ের আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৭ বলে ফিফটি ছুঁয়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের স্টার্লিং।
তবে সবধরনের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট মিলিয়ে খানের ফিফটির অবস্থান চতুর্থ। টি-টোয়েন্টিতে ১৫ বলেই ফিফটি আছে আরও তিনজনের। মার্টিন গাপটিল (২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে), ইউসুফ পাঠান (২০১৪ সালের আইপিএলে) ও সুনীল নারাইন (২০১৭ সালের আইপিএলে)।
১৪ বলে ফিফটির কীর্তি আছে সাত খেলোয়াড়ের। ১৩ বলে একজনের এবং ১২ বলে আছে তিনজনের। ১২ বলে ফিফটির কীর্তিতে নাম আছে ক্রিস গেইল (২০১৬ সালের বিগ ব্যাশ লিগ), হজরুতুল্লাহ জাজাই (২০১৮ সালের আফগান প্রিমিয়ার লিগ) আর যুবরাজের (২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে)।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস