৫৪তম ওভারের পঞ্চম বলে পেসার মোহাম্মদ শামীর বল ছেড়ে দিলে বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম। ১০৫ বলে ৪৩ করা এই ব্যাটসম্যান ৪টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান।
এর আগে দেখেশুনে খেলতে থাকা ইমরুল কায়েস দলীয় ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে উমেষ যাদবের শিকার হন। বল খোঁচা দিতে গিয়ে স্লিপে থাকা আজিঙ্কা রাহানের ক্যাচে পরিণত হন। ১৮ বলে ৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। পরের ওভারের শেষ বলে ইশান্ত শর্মার গতির কাছে হার মানের আরেক ওপেনার শাদমান ইসলাম। তিনি ২৪ বলে ৬ রান করেন। তার আউটের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয়।
রান রেট কম থাকলেও মুমিনুল হকের সঙ্গে ধীর ব্যাটিং করতে থাকেন মোহাম্মদ মিঠুন। তবে তিনিও থিতু হতে পারেননি। ১৮তম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ শামীর ডেলিভারিতে এলবির ফাঁদে পড়েন তিনি। ৩৬ বলে ১২ করেন এই ডানহাতি।
৩৮তম ওভারে রবীচন্দ্রন অশ্বিনের ভেতরে আসা একটি বল ছেড়ে দিলে বোল্ড হন মুমিনুল হক। ৮০ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৩৭ রান করেন এ ম্যাচে নেতৃত্ব পাওয়া এই বাঁহাতি। চতুর্থ উইকেটে ৬৮ রান যোগ করেন মুমিনুল ও মুশফিক।
অশ্বিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমদুউল্লাহ। দলীয় ৪৬ ওভারের প্রথম বলে ডানহাতি এই স্পিনারের বলে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। ৩০ বলে ১০ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এরই সঙ্গে পঞ্চম উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের।
এর আগে প্রথম ম্যাচে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। সকাল ১০টায় শুরু হয় ম্যাচটি।
সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞায় অধিনায়ক হিসেবে এই টেস্টে অভিষেক হলো মুমিনুল হকের। আর বাংলাদেশ দলে ফিরেছেন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাজে খেলা তারকা পেসার মোস্তাফিজুর রহমান জায়গা হারিয়েছেন। ভারতের একাদশে একটি পরিবর্তন হয়েছে আগের টেস্ট থেকে। স্পিনার নাদিমের পরিবর্তে ফাস্ট বোলার ইশান্ত শর্মা ফিরেছেন।
বাংলাদেশ একাদশ: ইমরুল কায়েস, শাদমান ইসলাম, মোহাম্মদ মিঠুন, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ, এবাদত হোসেন।
ভারত একাদশ: মায়াঙ্ক আগারওয়াল, রোহিত শর্মা, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), আজিঙ্কা রাহানে, রবীন্দ্র জাদেজা, ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটরক্ষক), রবীচন্দ্রন আশ্বিন, উমেষ যাদব, মোহাম্মদ শামী, ইশান্ত শর্মা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
এমএমএস