শহীদ জুয়েল ছিলেন আজাদ বয়েজ ক্লাবের ওপেনিং ব্যাটসম্যান। মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে শহীদ হন তিনি।
দুই বীর শহীদের স্মরণে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বিজয় দিবস প্রীতি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেমেছিল শহীদ মুশতাক ও শহীদ জুয়েল একাদশ। শহীদ জুয়েল একাদশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে শহীদ মুশতাক একাদশ।
প্রতিবারের মতো এই ম্যাচে অংশগ্রহণ করেন সাবেক ক্রিকেটাররা। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান তোলে শহীদ জুয়েল একাদশ। জবাবে, ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে শহীদ মুশতাক একাদশ।
শহীদ জুয়েল একাদশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন এহসানুল হক সেজান। এছাড়া সজল চৌধুরী ৪৬, শাহরিয়ার হোসেন ৩২, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ১৬, নাইমুর রহমান দুর্জয় ৫ ও খালেদ মাহমুদ সুজন ৩ রান করেন। শহীদ মুশতাক একাদশের পক্ষে ২টি উইকেট নেন শফিউদ্দিন আহমেদ।
ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ রফিকের ৮ চার ও ৫ ছক্কায় ৩৯ বলে ৮১ রানের ঝড়ো ইনিংস ও মেহরাব হোসেন অপির অপরাজিত ৪৬ রানে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় শহীদ মুশতাক একাদশ। মোহাম্মদ রফিক ও মেহরাব হোসেন অপি তৃতীয় উইকেট জুটিতে তোলেন ১১৮ রান। এছাড়া হারুনুর রশিদ ১২, জাভেদ ওমর ৬ ও জাহাঙ্গীর শাহ অপরাজিত থাকেন ২ রানে। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন মোহাম্মদ রফিক।
শহীদ জুয়েল একাদশের স্কোয়াড: নাঈমুর রহমান দুর্জয়, হাবিবুল বাশার সুমন, মাহমুদুল হাসান রানা, আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, এনামুল হক মনি, সজল চৌধুরি, খালেদ মাহমুদ সুজন, নাসির আহমেদ নাসু, এহসানুল হক সেজান, নিয়ামুর রশিদ রাহুল, মোহাম্মদ সেলিম, হাসিবুল হোসেল শান্ত। ম্যানেজার: গোলাম ফারুক চৌধুরি সুরু
শহীদ মুশতাক একাদশের স্কোয়াড: মেহরাব হোসেন অপি, জাহাঙ্গীর আলম, হারুনুর রশীদ লিটন, আনোয়ার হোসেন, তারেক আজিজ খান, মুশফিকুর রহমান, মোরশেদ আলি খান, মোহাম্মদ রফিক, আনোয়ার হোসেন মনির, শফিউদ্দিন আহমেদ বাবু, ফারুক আহমেদ, জাভেদ ওমর বেলিম গোল্লা, মোহাম্মদ আলি, খালেদ মাসুদ পাইলট। ম্যানেজার: রকিবুল হাসান
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
এমআরপি