পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে ফিরেছেন দুই অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ ও শাদাব খান। এছাড়া পাঁচ বছর পর দলে ফিরেছেন শারজিল খান।
টি-টোয়েন্টিতে সহ-অধিনায়ক হিসেবে আছেন শাদাব। অন্যদিকে শারজিল পাকিস্তানের হয়ে শেষবার খেলেছেন ২০১৬ সালে। জাতীয় টি-টোয়েন্টি কাপে দুর্দান্ত খেলার স্বীকৃতি পেলেন তিনি। এই আসরে ২৩৩ রান এবং মাঝপথে স্থগিত হয়ে যাওয়া পিএসএলে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমের পরে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে শারজিলের ব্যাট থেকে।
স্কোয়াডে দু’জন তরুণ পেসারকে জায়গা দিয়েছে পাকিস্তান। ১৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ও ২০ বছর বয়সী আরশাদ ইকবাল। বাদ পড়েছেন আমের ইয়ামিন, আমাদ বাট, হোসাইন তালাত, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, জাফর গোহর ও জাহিদ মাহমুদ। গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছিলেন তারা। তার মধ্যে আমের ও আমাদের বাদ পড়ায় টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে জায়গা পাওয়ার পথ প্রশস্ত হয় হাফিজ ও শাদাবের।
ওয়ানডে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন দুই অভিজ্ঞ তারকা ওয়াহাব রিয়াজ ও ইমাদ ওয়াসিম। এছাড়া জায়গা হয়নি আবিদ আলী, হারিস সোহেল, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ মূসা, রোহেইল নাজির ও জাফর গোহারের। ১৮ সদস্যের স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন দানিশ আজিজ, সৌদ শাকিল ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।
অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে নেই ইয়াসির শাহ। চোটের কারণে দলের বাইরে রাখা হয়েছে এই অভিজ্ঞ স্পিনারকে। হাঁটুর চোটের কারণে নেই লেগ-স্পিনার কামরান গুলাম। আর প্রথমবারের মতো টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন শাহনেওয়াজ দাহানি। ২০ সদস্যের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি জাহিদ মাহমুদের।
পাকিস্তান তিনটি ওয়ানডে ও চারটি টি-টোয়েন্টি খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে। এরপর তারা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলবে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শুরু হবে ২ এপ্রিল থেকে। এই সফরের ফাইনাল ম্যাচ হবে ১৬ এপ্রিল। এর পরেরদিন বুলাওয়ের পথে উড়াল দেবে পাকিস্তান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা। পাকিস্তান দল দেশে ফিরবে ১২ মে।
টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড: বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), শারজিল খান, মোহাম্মদ হাফিজ, হায়দার আলী, দানিশ আজিজ, আসিফ আলী, মোহাম্মদ নওয়াজ, ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সরফরাজ আহমেদ, শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফ, মোহাম্মদ হাসনাইন, হাসান আলী, আরশাদ ইকবাল, উসমান কাদির।
ওয়ানডে স্কোয়াড: বাবর আজম (অধিনায়ক), ইমাম উল হক, ফখর জামান, আবদুল্লাহ শফিক, হায়দার আলী, দানিশ আজিজ, সৌদ শাকিল, ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সরফরাজ আহমেদ, শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফ, মোহাম্মদ হাসনাইন, হাসান আলী, উসমান কাদির।
টেস্ট স্কোয়াড: বাবর আজম (অধিনায়ক), ইমরান বাট, আবিদ আলী, আবদুল্লাহ শফিক, আজহার আলী, ফাওয়াদ আলম, সৌদ শাকিল, আগা সালমান, ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সরফরাজ আহমেদ, শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফ, তাবিশ খান, হাসান আলী, শাহনেওয়াজ ধানি, নওমান আলী, জাহিদ মাহমুদ, সাজিদ খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২১
ইউবি