ঢাকা, সোমবার, ২ ভাদ্র ১৪৩২, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ২৩ সফর ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘অধিকার রক্ষায় জেল খাটলেও আপস করেননি খালেদা জিয়া’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:১২, আগস্ট ১৭, ২০২৫
‘অধিকার রক্ষায় জেল খাটলেও আপস করেননি খালেদা জিয়া’ এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম: চসিক মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকার রক্ষা করতে গিয়ে স্বৈরশাসকের মিথ্যা মামলায় জুলুম নির্যাতনের শিকার হলেও বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন আপসহীন। গণতন্ত্র রক্ষায় তার সংগ্রামী মনোভাবের জন্যই তিনি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।

রোববার (১৬ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের আবদুল খালেক মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ সাবেক ছাত্রদল ফোরামের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও এতিমদের মাঝে খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  

ডা. শাহাদাত বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বার বার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খালেদা জিয়া দেশের মানুষের পাশে থেকেছেন।

তিনি কখনো আপস করেননি। জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, এমনকি জেল খেটেছেন, কিন্তু জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার আন্দোলন থেকে একচুলও পিছিয়ে আসেননি।

তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিটি টালমাটাল সময়ে বেগম খালেদা জিয়া সাহসিকতার সাথে জনগণকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আশির দশকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তার আপসহীন ভূমিকার কারণেই বিএনপি জনগণের আস্থা অর্জন করে ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসে। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে তিনি যে দক্ষতা ও সততার পরিচয় দিয়েছেন, তা স্বাধীনতার পর থেকে অন্যতম সেরা শাসনামল হিসেবে ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে।

তিনি বলেন, ২০০৭ সালের এক এগারোর সময় যখন শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন, তখন খালেদা জিয়া স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, 'চিকিৎসা নিতে হলে দেশে নেব, মরতে হলে এখানেই মরব, বাংলাদেশের মানুষকে ফেলে বিদেশে যাব না। ’ তাঁর আপসহীন অবস্থানের কারণেই বিদেশি মহল চাপ সৃষ্টি করেও ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। গত ১৬ বছর এত নির্যাতনের পরও খালেদা জিয়া দেশ ছাড়েননি কিন্তু স্বৈরশাসক হাসিনা ঠিকই পালিয়েছে। এখনও যারা দেশের গণতন্ত্রের পথে বিভিন্ন বাধা তৈরি করছে তারাও পালাবে।  

তিনি অভিযোগ করেন, গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে শেখ হাসিনার অবৈধ শাসনামলে খালেদা জিয়ার জীবন হুমকিতে পড়েছিল। কারাগারে থাকার কারণে তার কিডনি ও লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। তারপরও তিনি দেশের মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলন থেকে সরে আসেননি। এজন্যই তিনি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতীক।

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক মো. কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক আবু বক্কর শিকদার ও মহসিন কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক ইয়াকুব আলী সিফাতের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি।  

বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এমএ আজিজ, কাজী বেলাল উদ্দিন, হারুন জামান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, খোরশেদ আলম, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মশিউল আলম স্বপন, মোশারফ হোসেন ডিপটী, ইসমাইল বালি, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা শামসুল আলম, মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী, অ্যাডভোকেট মঈনুদ্দিন, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা এসএম মফিজ উল্লাহ, মোশারফ জামাল, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, হাসান উসমান চৌধুরী, গোলাম মনছুর, মো. সালাউদ্দীন প্রমুখ।

 এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।