চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: উচ্চ আদালতের রুল নিষ্পত্তি না করেই গত বছরের ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা। এছাড়াও নিয়ম না মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নের কারণে সমালোচিত হয়েছে ফারসি বিভাগের এ নিয়োগ প্রক্রিয়া।
ইতোমধ্যে সিলেকশন বোর্ড পাঁচজনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে। যা সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
প্রথম ফোনালাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক কর্মচারী ও নিয়োগপ্রার্থীর কণ্ঠ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রথম ফোনালাপ:
চবি কর্মচারী: আপনি কি এখানে (চবিতে) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদন করেছেন?
নিয়োগপ্রার্থী: আমি আবেদন করেছি।
কর্মচারী: কোনো লবিং করেছেন কি?
নিয়োগপ্রার্থী: আপনি কে বলছেন, আপনার পরিচয়টা দিলে সুবিধা হয়।
কর্মচারী: আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টস থেকে বলছি। ১৪ তারিখ (১৪ নভেম্বর, ২০২১) আপনাদের (ইন্টারভিউ) মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পড়েছে। এখানে আপনার নাম দেখে ফোন করেছি, লবিং করছেন কিনা, সেটা জানার জন্য।
নিয়োগপ্রার্থী: লবিং বলতে আমাদের চট্টগ্রাম আনোয়ারা থানার একজন মন্ত্রীর কাছ থেকে একটা ডিও (ডেমি অফিসিয়াল) লেটার নিয়েছিলাম। যাইহোক আপনার নাম কি? বাড়ি কোথায় আপনার?
কর্মচারী: আমার নাম আহমদ হোসেন। বাড়ি এখানেই, হাটহাজারী।
নিয়োগপ্রার্থী: এখন কিভাবে কি করা যায়, আমাকে পরামর্শ দিন।
কর্মচারী: এখন তো আসলে লবিং ছাড়া কিছুই হবে না, এটা সবাই জানে।
নিয়োগপ্রার্থী: আমি আরবি বিভাগের এক ভাই এবং আমাদের চবির এক স্যারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। উনারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। এখন বাস্তবতা কি, সেটা তো জানি না।
কর্মচারী: ঠিক আছে, এখানে চট্টগ্রামের দুইজন আছে ক্যান্ডিডেট, এরমধ্যে আপনি একজন। যাইহোক, যদি প্রয়োজন মনে করেন অ্যাডভান্স দিতে পারবেন, ফোন দিবেন আরকি। আর যেহেতু আপনার পরিচিত মানুষ আছে, দেখেন কি করা যায়।
দ্বিতীয় ফোনালাপ:
নিয়োগপ্রার্থী: আমাকে পদ্ধতিটা শিখিয়ে দিন, কার মাধ্যমে কি করতে হবে?
কর্মচারী: একটা জিনিস আপনিও বুঝেন, আমিও বুঝি, সবাই বুঝে। বর্তমান পরিস্থিতিতে লেনদেন ছাড়া কোনো কিছুই হয় না। এজন্য মন্ত্রীর সুপারিশ বলেন বা যার সুপারিশই বলেন, কোনো কিছুই কার্যকরি হবে না। কারণ সব জায়গায় টাকা লাগে। এখন কথা হলো আপনাকে যদি ম্যাডামের (উপাচার্য) সঙ্গে বসিয়ে দিই, আর ম্যাডাম যদি রাজি হন- তাহলে আপনাকে অর্ধেক পেমেন্ট (টাকা) আগে দিয়ে ফেলতে হবে। আর বাকি অর্ধেক আপনি অ্যাপয়েনমেন্ট লেটার পাওয়ার পর দিবেন।
নিয়োগপ্রার্থী: কাকে দিতে হবে পেমেন্ট? ম্যাডাম কে?
কর্মচারী: ম্যাডামকে না, ম্যাডাম কি সরাসরি (টাকা) নিবে নাকি? তাছাড়া ম্যাডাম আবার মন্ত্রণালয়ে লাইনঘাট সব ম্যানেজ করবেন। যাইহোক, এটা আমি জানি বলেই আপনাকে জানালাম। এখন আপনার যদি সম্মতি থাকে তাহলে আমি আলাপ করে দেখতে পারি। ম্যাডাম যদি রাজি হন, তাহলে আপনি অর্ধেক পেমেন্ট করবেন এবং পেমেন্ট যে করছেন সেটার একটা চেক অথবা ডকুমেন্ট দিতে হবে। কিন্তু ম্যাডাম যদি ‘না’ বলেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রীও যদি ব্যক্তিগতভাবে সুপারিশ করেন কোনো কাজ হবে না। এটাই শেষ কথা। কারণ ম্যাডাম নিজেও তো আসছেন অনেক টাকা খরচ করে। তবে এ সমস্ত কথা কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না। তাহলে আপনারও বিপদ, আমারও বিপদ। এখন আপনার যদি সম্মতি থাকে এবং ম্যাডাম যদি রাজি হন, তাহলে একটা কন্ট্রাক্ট (চুক্তি) করা যায়।
নিয়োগপ্রার্থী: বুঝতে পারলাম, অ্যামাউন্ট কত? (টাকার পরিমাণ)
কর্মচারী: অ্যামাউন্ট হলো ১৬ (লাখ)।
নিয়োগপ্রার্থী: তাহলে তো কঠিন অবস্থা।
কর্মচারী: তৃতীয় শ্রেণির একটা চাকরির জন্য এখন ১০-১২ লাখ টাকা লাগে। চতুর্থ শ্রেণির- যেমন মালি, প্রহরীর এসব চাকরির জন্য লাগে ৮ লাখ টাকা। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলো সর্বোচ্চ সম্মানী পদ। কাজেই এখানে ১৬ লাখের কম দিলে হবে না।
নিয়োগপ্রার্থী: কার মারফতে (মাধ্যমে) দিতে হবে টাকা?
কর্মচারী: সেটা পরে জানাবো। আগে আপনার যদি সম্মতি থাকে, তাহলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। যেভাবেই হোক আমি সেটা নেওয়ার ব্যবস্থা করবো।
নিয়োগপ্রার্থী: ঠিক আছে।
কর্মচারী: যেহেতু চট্টগ্রামের বাহিরের মানুষ বেশি (নিয়োগপ্রার্থীদের মধ্যে)। চট্টগ্রামের মধ্যে আছেন আপনারা দুইজন। আর আমিও চাই যে চট্টগ্রামের একজনের হোক। চট্টগ্রামের মানুষ হিসেবে চট্টগ্রামের যারা তাদের পক্ষে থাকাটাই তো স্বাভাবিক। এজন্য চট্টগ্রামের দুই জনকেই বলছি আমি এ বিষয়ে।
নিয়োগপ্রার্থী: চট্টগ্রামের মধ্যে তো ৪-৫ জন আবেদন করছে। রেজাল্ট ভালো দুইজনের আরকি।
কর্মচারী: ওরকম হলে তো আমরা জানতাম। শুধু আবেদন করলেই তো হবে না। রেজাল্ট ওতো ভালো হতে হবে।
নিয়োগপ্রার্থী: ঠিক আছে। আমি দেখি, যদিও আমার জন্য এ টাকা ম্যানেজ করা কষ্টকর হয়ে যাবে। আমি গরীবের ছেলে। পড়াশোনা করেছি কষ্ট করে।
কর্মচারী: যাইহোক চিন্তাভাবনা করেন জানাবেন। আর রেজাল্টও লাগবে। যার কারণে দুইটাই (রেজাল্ট এবং টাকা) প্রয়োজন। এখন এটা আপনার সম্মতির উপর। এটা চাইলে বাইরের কাওকেও বলতে পারতাম।
নিয়োগপ্রার্থী: জ্বি, পারলে দিবো, না পারলে সাধারণভাবে গিয়ে পরীক্ষা দিবো আরকি। যদিও এত টাকা সংগ্রহ করা আমার জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে।
কর্মচারী: ঠিক আছে আপনি চিন্তাভাবনা করে দেখেন।
তৃতীয় ফোনালাপ:
ঢাবি ও চবির ফারসি বিভাগের দুই ছাত্রের কথোপকথন
চবি ছাত্র: আব্দুল করিম (ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি) স্যারের রুমে ঢোকার আগে ওয়াক্কাসকে (আরও এক নিয়োগপ্রার্থী) বলে দিয়েছি যে- তোমাকে ভাইবাতে কি কি জিজ্ঞেস করেছে এটা বলবে না এবং ভিসি ম্যাডাম কি কি বলেছে, সেটাও বলবে না। কারণ সে পলিটিক্স বোঝেনা।
এছাড়া আমি আপনাকে ভাইবার সময় নিচে (প্রশাসনিক ভাবনের) জানিয়েছিলাম না, যে কথাবার্তা বলছেন কি না? এটা কেন বলছি জানেন?
ঢাবি ছাত্র: কেন বলছেন?
চবি ছাত্র: কারণ ভিসি ম্যাডামের ভাতিজা (আফজার কামাল চৌধুরী শাওন) মান্নান ভাইকে (ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক বিভাগের ল্যাব সহকারী) বলছে- ‘চট্টগ্রামের যে ছেলেগুলো আছে, তারা লবিং করেছে কিনা উনি জানেন না। ’
মান্নান ভাইর সঙ্গে আমার ২০ বছরের সম্পর্ক। উনি আমাকে বলেছে- ‘চট্টগ্রামের কেউ আছে কি না? থাকলে ম্যানেজ করে দিতে পারতাম। ’
তো আমি বলছি, চট্টগ্রামের একজন আছে আমাদের। আমি যোগাযোগ করে দেখি। সে জন্য আপনি কতটুকু লবিং করতে পারছেন বা পারেন নাই। সেটা তো আমি জানি না। ওই নিউজটা আপনাকে দিলাম।
ঢাবি ছাত্র: জ্বি, বুঝতে পেরেছি।
চতুর্থ ফোনালাপ:
চবি ছাত্র: ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ সিদ্দিকী ওয়াক্কাসকে (মুহাম্মদ ওয়াক্কাস- ভাইবা বোর্ডের সুপারিশ পাওয়া নিয়োগপ্রার্থীদের একজন) ফোন দিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে ওয়াক্কাস আমাকে কল দিয়ে বিষয়টি জানায়। আমি বললাম ‘সিদ্দিকী স্যার তো আমাদের কাছের মানুষ, কি বলেছে স্যার? সে বললো- স্যার একটা মোবাইল নম্বর দিয়েছে তাকে। নম্বরটা ওর কাছ থেকে নিয়ে দেখলাম যে এটা রবীন স্যারের (ডেপুটি রেজিস্ট্রার খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীন) নম্বর। পরে আমি ওয়াক্কাসকে রবীন স্যারের কাছে তাড়াতাড়ি যেতে বললাম। তাছাড়া রবিন স্যার ভিসি ম্যামের কাছের মানুষ।
ঢাবি ছাত্র: আচ্ছা, তারপর?
চবি ছাত্র: ওয়াক্কাসকে আমি আগেই বলেছি, এখানে টাকা পয়সার যেহেতু একটা বিষয় আছে, টাকার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তুই যতটুকু দিতে পারবি, সেটা বলবি। রবীন স্যার কনফার্ম করে দিবে। পরে রবীন স্যার ওয়াক্কাসকে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য বলেছে। আমি বিষয়টা ডিপার্টমেন্টের কোনো শিক্ষককেও বলতে নিষেধ করেছি। আপনিও এটা কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
ঢাবি ছাত্র: এখন ওয়াক্কাস কি ৫ লাখ টাকা দিতে পারবে?
জসিম উদ্দিন: না, ও বোধহয় ৫ লাখ দিতে পারবে না।
পঞ্চম ফোনালাপ:
উপাচার্যের সহকারী ও নিয়োগপ্রার্থীর মধ্যে-
খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীন- ম্যাডামের (উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার) সঙ্গে দেখা হলে তোমার কথা বলবো। ম্যাডাম যেভাবে বলে সেভাবে হবে।
নিয়োগপ্রার্থী: ঠিক আছে, আপনি একটু দয়াকরে আমার বিষয়টা দেখবেন আরকি।
খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীন- ঠিক আছে ইনশাআল্লাহ। চট্টগ্রামের দেখেই তো আমি টান দিলাম (তোমাকে)। কিন্তু প্রেক্ষাপট বা বাস্তবতা হলো এগুলোই হচ্ছে সব জায়গায়। আমি তোমার ভাবির (খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীন এর স্ত্রী) জন্যও চেষ্টা করেছি। কিন্তু গতবার আমি শুধু এটা (টাকা) দেইনি বলেই হয় নাই (চাকরি)। আমি এখানেই আছি, অথচ আমার স্ত্রী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছে। বর্তমানে সে (আমার স্ত্রী) সার্দান ইউনিভার্সিটিতে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে আছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে চুক্তি করি নাই বলেই হয়নি এটা। অন্যথায় এতদিনে হয়ে যেত। সোজা কথা এটাই।
নিয়োগপ্রার্থী: আপনি যে কারণে ভিক্টিম হয়েছিলেন। আপনি যেহেতু এখন ম্যাডামের সঙ্গে আছেন, অন্যকেউ যেন এমন ভিক্টিম না হয়, আমি আপনার কাছে এটা আশা করবো আরকি।
খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীন- আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। তবে বাস্তবতা যেটা, সেটা আমি তোমাকে ইঙ্গিত করলাম।
নিয়োগপ্রার্থী: বুঝতে পেরেছি। আপনি যদি ম্যাডামের (উপাচার্য) সঙ্গে আমার সাক্ষাতের বিষয়টা নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে আমি বিষয়টা দেখবো ইনশাআল্লাহ।
খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীন- ঠিক আছে।
ফোনালাপের বিষয়ে জানতে চাইলে চবির কর্মচারী আহমদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমার মোবাইল আরও ছয়মাস আগে হারিয়ে গেছে। তাই আমি এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কেউ হয়তো আমার ক্ষতি করার জন্য আমার নম্বর ব্যবহার করে এ কাজ করে থাকতে পারে।
নিয়োগপ্রার্থী ঢাবি ছাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, আমার কাছে এ রেকর্ডিংগুলো ছিলো। তবে আমি এটা কারও সঙ্গে শেয়ার করিনি। কেউ হ্যাক করে এগুলো ছড়িয়ে দিয়েছে হয়তো। তবে আমি কোনো অফারে সাড়া দেইনি। কিন্তু বিষয়টা এখন অনেকেই জেনেছে। এরপরও যদি নিয়োগটা ন্যায্যভাবে না হয়, তাহলে কিছু বলার নেই।
জানতে চাইলে নিয়োগপ্রার্থী মুহাম্মদ ওয়াক্কাস বাংলানিউজকে বলেন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ সিদ্দিকী স্যারকে আমি চিনি না। আমি খুব সাধারণ ছাত্র। কোনো অফার দিয়ে কেউ আমাকে কনভিন্স করতে পারেনি। তবে অফারগুলো আমাকে কে দিয়েছে সেটাও জানি না আমি। আমি সাধারণভাবেই পরীক্ষা দিয়েছি। এসবের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
চবির ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক বিভাগের ল্যাব সহকারী আবদুল মান্নানের কাছে অডিও সংলাপে পাওয়া সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি উপাচার্যের ভাতিজার নামও শুনিনি কখনো আমি। আমার বিরুদ্ধে কেউ হয়তো ষড়যন্ত্র করে এসব করেছে।
এছাড়া অডিও সংলাপে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া চবির ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ সিদ্দিকী এবং উপাচার্যের সহকারী ডেপুটি রেজিস্ট্রার খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এ অডিওগুলো পেয়েছি। এর তদন্ত চলছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সর্বশেষ ধাপ- সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদনের ক্ষেত্রে ফাঁস হওয়া অডিও সংলাপের বিষয়টি কোনও প্রভাব ফেলবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সিন্ডিকেট সভার সদস্যদের বিষয়। তারা এ বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটা তাদের একান্ত বিষয়।
চবির ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সিলেকশন বোর্ডে (ভাইবা বোর্ড) বিভাগ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ শিক্ষক না রাখা, আবেদনের সময় স্বল্পতা, কয়েকজন আবেদনকারীকে পরীক্ষার জন্য না ডাকা, প্রবেশপত্র ছাড়াই পরীক্ষায় অংশ নেওয়াসহ উচ্চ আদালতের রুল নিষ্পত্তি না করেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নের বিষয়টি সর্বপ্রথম বাংলানিউজের অনুসন্ধানে উঠে আসে।
এ সংক্রান্ত বাংলানিউজের তিনটি প্রতিবেদন-
* নিয়ম না মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া!
* চবির নিয়োগ প্রক্রিয়া ‘নিন্দনীয় ও হাস্যকর’ বলায় অধ্যাপককে শোকজ
* চবির নিয়োগ, আরও এক আবেদনকারী যাচ্ছেন উচ্চ আদালতে
বাংলাদেশ সময়: ০২৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২২
এমএ/টিসি/এনটি