ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৪
কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

কলকাতা: যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করছে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন।

রোববার (১৭ মার্চ) দিনটিতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও মিশনের ‘মুজিব চিরঞ্জীব’ মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস।

এরপর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত কলকাতার বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে তার আবক্ষ ভাস্কর্য়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করেন মিশনে কর্মকর্তাসহ শহরের বঙ্গবন্ধুপ্রেমীরা।

ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেছেন, দিনটি আমাদের জন্য এক আনন্দের দিন। ১০৪ বছর আগে ইতিহাসের মহানায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার জন্মের কারণে পুরো পৃথিবীর ইতিহাস পাল্টে গেছে। পৃথিবী আজ যে নতুন দিকে এগিয়েছে তার নেপথ্যের মূল নায়ক হলেন বঙ্গবন্ধু। আমরা গর্ববোধ করছি যে, কলকাতায় বসে তার জন্মদিন উদযাপন করতে পারছি।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা কিন্তু এই কলকাতা থেকে। এই কলকাতায় তার রাজনৈতিক জীবনের হাতেখড়ি। তিনি তৎকালীন ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং তখন তিনি যে নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন, সেটির ধারাবাহিকতায়, তিনি একের পর এক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বেকার হোস্টেল যেখানে বঙ্গবন্ধু ছাত্রাবস্থায় কাটিয়েছেন এখানে এসে তাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করলাম। এটা বাংলাদেশের জন্য আবেগের জায়গা।  

একইসঙ্গে ডেপুটি হাইকমিশনারের অভিমত, বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন এবং তিনি বিশ্বাস করতেন নতুন প্রজন্মই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। যেই মূল মন্ত্রের দীক্ষিত হয়ে তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা, যিনি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যিনি শিশুদের ভবিষ্যত গড়ে তুলছেন। তাদের কথা মনে রেখে শিশু দিবসে আমরাও কলকাতার শিশুদের নিয়ে কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি, যেখানে শিশুরাই প্রাধান্য পাবে।

কলকাতাবাসী নাতাশা আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে আমি যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি এবং ভালোবাসি। আমি তাকে বাঙালির একজন নেতা বলে মনে করি। বাংলাদেশের রূপকার হিসেবে দেখি। বাংলাদেশ এবং বাঙালির অধিকার আন্দোলনের বীজ তিনি বপন করেছিলেন এবং তার কারণেই একজন রূপকার হিসেবে একটি স্বাধীন সার্বভৌম আমাদের প্রতিবেশী বাংলাদেশ পেয়েছি।

কলকাতার বিশিষ্টজন স্নেহাশীষ সুর বলেছেন, আমরা যদি নিজেদের বাঙালি বলে মনে করি, তাহলে যেমন রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও নেতাজি আছেন তেমন বাঙালির জীবনে বঙ্গবন্ধুও আছেন। আমি মনে করি, বঙ্গবন্ধু একটি বিশেষ ভূখণ্ডের নয় সর্বত্রই, যেখানেই বাঙালি রয়েছে সেখানে আরও বঙ্গবন্ধুর সম্বন্ধে জানা বোঝা উপলব্ধি করা এবং তার যে আদর্শ আছে সেখানেই বঙ্গবন্ধু আছেন। একজন স্বাধীনতার চেতনা রূপকার।

এছাড়া শিশু দিবস উপলক্ষে মিশন প্রাঙ্গণের বাংলাদেশ গ্যালারিতে কলকাতার শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং সন্ধ্যায় মিশন প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছিল।  

এ অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৪
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।