ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পত্রিকাগুলোর প্রথম পাতায় ছিল রাজধানী স্থানান্তরের খবর

ভাস্কর সরদার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৫
পত্রিকাগুলোর প্রথম পাতায় ছিল রাজধানী স্থানান্তরের খবর

কলকাতা: মুজিবনগর থেকে ঢাকায় রাজধানী স্থানান্তরের খবর প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়েছিল কলকাতার খবরের কাগজগুলোতে। ২২ ডিসেম্বর এই ঘটনা ঘটে।

তার পরের দিন ২৩ ডিসেম্বর কলকাতার খবরের কাগজগুলোর প্রথম পাতাতেই এই খবর ছাপা হয়।

২২ ডিসেম্বর ১৯৭১, তেজগাঁও বিমানবন্দরে তৎকালীন বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ মন্ত্রিসভাকে বিরাট জনসমুদ্র স্বাগত জানায়। এই মন্ত্রিসভা তৈরি হয়েছিল কুষ্টিয়ার মুজিবনগরে।

ওই দিন কলকাতা থেকে প্রকাশিত অন্যতম পত্রিকা যুগান্তরে প্রকাশিত একটি খবরে জানা যায়, বিমানবন্দরে এতো মানুষের জমায়েত হয়েছিল যে তাদের সামলাতে যে ব্যবস্থা করা হয়েছিল উৎসাহী জনতার চাপে তা সম্পূর্ণ রূপে ভেঙে যায়।

এ সময় জেল থেকে ছাড়া পেলেও বঙ্গবন্ধুকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল বলে ওই সময়ের খবরের কাগজগুলো সংবাদ প্রকাশ করে। যদিও সেই সময়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তানের সঠিক খবর এসে পৌঁছানো ছিল এক বড় মাপের সমস্যা।

বিভিন্ন সময় নানা বিভ্রান্তিমূলক খবর ছাড়নো হতো বলে জানা যায়। তবে বিশ্ব জনমত যে সেই সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর বিপক্ষে চলে যাচ্ছিল তার প্রমাণ ওই দিনগুলোর সংবাদপত্র ঘাটলেই পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্র বিশেষভাবে এ সময় পাকিস্তান সরকারের উপর বঙ্গবন্ধুকে মুক্তির জন্য চাপ বাড়াচ্ছিল।

২২ ডিসেম্বর এক উৎসবমুখর নগরী ঢাকায় পা রাখনে মন্ত্রীরা। একদিকে সেই সময় ঢাকায় যেমন প্রথম স্বাধীন সরকারকে বরণ করতে উৎসাহ ঠিক তেমনি পশ্চিমবঙ্গে উৎসাহ তৈরি হয়েছিল নতুন প্রতিবেশী বাংলাদেশ সম্পর্কে।

সেই সময়ের খবরের কাগজগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ধাপে ধাপে রিফিউজিরা ফিরে যাওয়ার যে পরিকল্পনা সেটি শুরু হয়ে যায়। ডিসেম্বরের ওই সময়ের মধ্যেই এক লাখ তিরিশ হাজার শরণার্থী দেশে ফিরে গিয়েছিল বলে জানা যায়।

ওই সময়ের কলকাতার রিফিউজি অঞ্চলে বসবাস করতেন এমন কয়েকজন জানিয়েছেন, একদিকে ছিল রিফিউজিদের ঘরে ফেরার আনন্দ। অন্যদিকে, ছিল তাদের বিদায় জানানোর বেদনা। তবে স্বাধীন দেশ এবং তার নতুন রাজধানী ঢাকা নিয়ে সবার মধ্যেই উৎসাহ ছিল তুঙ্গে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৫
ভিএস/আইএ

**‘শুধু বুঝতে পেরেছিলাম, বড়ো কিছু ঘটতে চলছে’
** শিশুটি দৌড়াচ্ছিল আর বলছিল-‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’
**  ‘সেদিন ছিল আমাদেরও বিজয়ের দিন’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।