ঢাকা, সোমবার, ১২ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জলবায়ু প্রকল্প থেকে ৩২২ কোটি টাকা ফেরত নিল জাতিসংঘ

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৫
জলবায়ু প্রকল্প থেকে ৩২২ কোটি টাকা ফেরত নিল জাতিসংঘ

ঢাকা: প্রকল্প বাস্তবায়নে অদক্ষতার কারণে জলবায়ু প্রকল্প থেকে ৩২২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ফিরিয়ে নিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি)।

‌‌‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সহায়তায় দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাবসহন’ প্রকল্প থেকে অর্থ ফিরিয়ে নিচ্ছে সংস্থাটি।



দুঃস্থ জনগোষ্ঠির প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দুর্যোগ কবলিত পরিবারগুলোর খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যে ২০১২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়ে আসছিল। নানা কারণ দেখিয়ে প্রকল্প থেকে টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে।

প্রকল্পটি জামালপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ ১২টি জেলার ৪২টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হয়ে আসছিল।
 
এদিকে পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, জাতিসংঘ প্রকল্প সাহায্য ফিরিয়ে নেওয়ার কারণে প্রকল্পটি সংশোধন করা হবে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ছিল ৫২৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং ডব্লিউএফপি’র প্রকল্প সাহায্য ছিল ৫০৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর মধ্যে থেকে ৩২২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ফিরিয়ে নিয়েছে ডব্লিউএফপি। এতে করে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে মাত্র ৭১৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ডব্লিউএফপি’র প্রকল্প সাহায্য থাকছে মাত্র ১৮৬ কোটি ৫ লাখ টাকা।
 
অর্থায়ন ফিরিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে জানা গেছে, প্রকল্পটির অনুকূলে খাদ্যশস্য হিসেবে ১ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন চাল, গম, ৮ হাজার মেট্রিক টন ডাল এবং ৪ হাজার মেট্রিক টন তেল সরবরাহের চুক্তি ছিল। কিন্তু প্রতিশ্রুত খাদ্যশস্যের মধ্যে মাত্র ৪২ হাজার ৫৪০ দশমিক ৭৪ মেট্রিক টন খাদ্য সরবরাহ করা হয়েছে।
 
প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছিল জানুয়ারি ২০১২ থেকে ডিসেম্বর ২০১৬ সাল পর্যন্ত। তবে প্রকল্পের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হচ্ছে।
 
এলজিইডি সূত্র জানায়, প্রকল্প সাহায্য কমে যাওয়ায় প্রকল্পের সুফলভোগীর সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। ২ লাখ ৪০ হাজার জন থেকে সুফলভোগীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১০ হাজার জন। বাস্তবায়নের অদক্ষতার কারণে দুঃস্থ জনগোষ্ঠীর ৩০ হাজার ব্যক্তি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলেন।
 
টাকা ফিরিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক হাসান কবির খসরু বাংলানিউজকে বলেন, টাকা কেন ফিরিয়ে নিচ্ছে, সেটা ডব্লিউএফপি বলতে পারবে। এ বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারবো না। তবে আমাদের সরকারি অর্থায়ন ঠিকই আছে। কিন্তু ডব্লিউএফপি তাদের কথা রাখেনি। তাই সরকারি অর্থায়ন ও অবশিষ্ট প্রকল্প সাহায্য দিয়ে প্রকল্পের যতটা পারা যায়, শেষ করা হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৫
এমআইএস/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।