ঢাকা, রবিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া সব দেশ ডিউটি ফ্রি সুবিধা দিচ্ছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৫
‘যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া সব দেশ ডিউটি ফ্রি সুবিধা দিচ্ছে’ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বিশ্বের সব দেশ বাংলাদেশি পণ্যের ডিউটি ফ্রি সুবিধা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

বুধবার (০২ ডিসেম্বর) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক সভায় তিনি এ তথ্য জানান।



ডিউটি ফ্রি পণ্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জাপান, কানাডা, চিলি, ব্রুনাই, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের অধিকাংশ দেশই বাংলাদেশি পণ্যে ডিউটি ফ্রি দিচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে ৫৪ বিলিয়ন ডলার রফতানি করবো। এখন দেশের সার্বিক অর্থনীতি অনেক ভালো।
 
তবে বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণে ‘ধ্বংস’ হচ্ছে অর্থমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে দ্বিমত পোষণ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ঢাকায় সব কলেজে শিক্ষক আছে, কিন্তু গ্রামে নেই। গ্রামের সব কলেজের শিক্ষকও শহরে আসেন না।

বাংলাদেশের অগ্রগতি বিস্ময়কর উল্লেখ করে তোফায়েল বলেন, বাংলাদেশ সব খাতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি গ্রামের ছেলে। আমরা যখন গ্রামে যাই দেখি, গ্রাম আর গ্রাম নেই, শহরের মতো হয়ে গেছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতি বদলে গেছে। আমি গ্রামে গিয়ে দেখি, খড়ের ঘরের জায়গায় টিনের বাড়ি হয়েছে। গ্রামে শতভাগ মানুষ স্যান্ডেল ব্যবহার করেন। ঘরে ঘরে টেলিভিশন। এগুলো দেখলেই ভালো লাগে। বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতে উন্নয়ন হয়েছে।

মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে অগ্রগতি অনেক। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে গেলে সুবিধাবঞ্চিত হবো কি-না, সেসব বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। এজন্য জিএসপি প্লাস সুবিধার বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমেরিকা ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আমাদের ডিউটি ফ্রি সুবিধা দিচ্ছে। বিশেষ করে চীন ও জাপান অনেক পণ্যে সুবিধা দিচ্ছে। আমেরিকা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে পাশ কাটিয়ে যে টিপিপি চুক্তি করেছে, এতে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা হবে না।
 
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ওষুধ খাতেও বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অনেক ভালো করছে। গার্মেন্টস খাতে ২০২১ সালের মধ্যে ৩৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার আয় হবে। বাংলাদেশের অগ্রগতি বিস্ময়কর। ২০২১ সালের মধ্যেই আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো।

সভায় জানানো হয়, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হতে হলে যে তিনটি নির্দেশক রয়েছে তার মধ্যে দু’টি- মাথাপিছু আয় ও মানব উন্নয়নে অগ্রগতি হয়েছে। এছাড়া অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রটি এখনও খারাপ অবস্থানে রয়েছে।

অর্থনীতি সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

খসড়া রিপোর্টের ওপর সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করেন ইআরডি’র অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ আলকামা সিদ্দিকী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
এমআইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।