ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শীঘ্রই রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক জটিলতা দূর হবে 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
শীঘ্রই রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক জটিলতা দূর হবে 

ঢাকা: রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক জটিলতা দূর করতে বাংলাদেশ কিছুদিন আগে ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের সদস্য হওয়ার সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশ এ কমিশনের সদস্যপদ লাভ করবে। তখন রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করতে কোনো জটিলতা থাকবে না। 

রোববার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে সফররত রাশিয়ার কৃষি বিষয়ক উপমন্ত্রী লেভিন সারজে এলভোভিসের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় বড় রফতানি বাজার।

শুল্ক ও আর্থিক দেনদেনের কিছু জটিলতার কারণে রাশিয়ার বাজারে প্রত্যাশা মতো বাংলাদেশি পণ্য রফতানি করা যাচ্ছে না। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাশিয়া বাংলাদেশকে প্রায় ৭১টি পণ্য রফতানিতে ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে এ বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে না। রাশিয়া বাংলাদেশকে তৈরি পোশাক রফতানিতে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করলে রাশিয়ায় বাংলাদেশের রফতানি অনেক বৃদ্ধি পাবে।

মন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো’-এর আয়োজক হতে চায় রাশিয়া। এ বিষয়ে আগামী নভেম্বরে সিদ্ধান্ত হবে। বাংলাদেশ এ ফোরামের সদস্য। এ বিষয়ে রাশিয়া বাংলাদেশের সমর্থন চায়। সদস্য দেশগুলো ভোট দিয়ে ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো’-এর স্থান নির্ধারণ করে। এবারে মেলার আয়োজক হতে আগ্রহী রাশিয়া, ফ্রান্স, জাপান এবং আজার বাইজান।

তিনি বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বিভিন্ন বিষয়ে রাশিয়া বাংলাদেশকে সহায়তা দেয়। রাশিয়া বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদুৎ কেন্দ্র নির্মাণে প্রায় ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এটি দেশে সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগ। এখানে ২ হাজার ৪শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

২০২৪ সালে এটি চালু হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রাশিয়ায় বাংলাদেশের উৎপাদিত আলুর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। রাশিয়ায় আলু রফতানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গত ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৪৬৪.৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ৪৩৭.১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। রফতানি বাণিজ্যে জটিলতা দূর হলে রাশিয়া বাংলাদেশের বড় রফতানির বাজার হবে।

 এ সময় বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, অতিরিক্ত সচিব মুন্সী সফিউল হক, ডব্লিউটিও সেলের ডিজি মুনীর চৌধুরী এবং অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি-২) তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
এসই/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।