দুই দফায় ৭ দিনের রিমান্ড শেষে চিশতিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক শামসুল আলম।
এসময় আসামির জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী মাহফুজ মিয়া।
শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১০ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
মামলার অপর তিন আসামি চিশতির ছেলে রাশেদুল হক চিশতি, ব্যাংকের এসভিপি জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খানকে বুধবার কারাগারে পাঠান আদালত।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা নিজেদের প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটিয়ে নিজেদের ২৫টি হিসাবে ব্যাংকিং নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ১৬০ কোটি টাকা হস্তান্তর করেছেন।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ও তার স্ত্রীসহ ১৭ জনের বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দুদক।
সম্প্রতি ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের পদ ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতি। গত ১৯ ডিসেম্বর ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম শামীমকেও অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
এমআই/এএ