ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রকল্পের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ঠেকাবো: পরিকল্পনামন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২০
প্রকল্পের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ঠেকাবো: পরিকল্পনামন্ত্রী

ঢাকা: প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়, অপচয় ঠেকাতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেছেন, পরিমিতিবোধ, মিতব্যয়িতা ইত্যাদি সাধারণ ব্যাপার আমাদেরকে স্কুল থেকে শিখিয়ে আসছে।

সেটা আমরা চর্চা করবো। অপচয় রোধ করবো। প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়, অপচয় আমরা ঠেকিয়ে দেবো।

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ পরিসংখ্যান শক্তিশালীকরণ (ইসিডিএস) প্রকল্পের আওতায় দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

ইসিডিএস প্রকল্পে মোট খরচ করা হবে ৩৬ কোটি ৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের জুনে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অপচয়ের বিষয়ে আমরা প্রতিরোধ করবো। সেই বিষয়ে আমি আপনাদের (সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের) দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। উন্নয়ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এবং অপচয় অবশ্যই রোধ করতে হবে। কাজ করতে গেলে অর্থের প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে যা লাগবে তা খরচ করতে এক মিনিটও দেরি করবেন না। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় ব্যয় করবেন না। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সারা বিশ্ব যেভাবে অভিযোজন করছে আমরাও সেভাবেই অভিযোজন করে চলবো। কিন্তু কিছু বিষয় রয়েছে আমাদের নিজস্ব। যেমন শুধু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই সব কিছু নয়। এর বাইরে আর্থিক বিষয়টিতে সাবধান হতে হবে।

এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রশাসনের দু’একটি সাধারণ বিষয় আপনাদের পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। করোনার কারণে আমরা একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। সারাবিশ্বই এ পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। সারাবিশ্ব যেভাবে অ্যাডজাস্টমেন্ট করছে, আমরাও তাই করবো। তাল মিলিয়ে চলবো। কিন্তু আমাদের ঘরের কিছু কাজ আছে, যেগুলো আমাদেরকেই করতে হবে।

সরকারি কর্মকর্তা, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব, বিবিএসের মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ব্যয়, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যয়টা করবো। যথাসময়ে এক বিন্দু দেরি করবো না, কিন্তু প্রয়োজনীয়। এটা আমি পুনরায় দেখবো। আপনাদের নজরে আনছি। ’

যেগুলো সরকারি বিভিন্ন সুযোগসুবিধা জনগণ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিয়েছে, তার বিনিময়ে তারা তাদের কাছ থেকে সেবা আশা করছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সেই সেবাটা, তাদের পুরো পাওটা মিটিয়ে দেব। সেই পাওয়া মিটিয়ে দেয়ার ব্যাপারে আমরা নিজেদের আত্মার সঙ্গে আপোষ করবো না। এ বিষয়ে আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ রাখছি। ’

পরিসংখ্যানের যথার্থতা নিয়ে ওঠা প্রশ্নের বিষয়ে এম এ মান্নান বলেন, ‘সারাদেশের মানুষ, যারা এ দেশের মালিক, আমরা যে বক্তব্যগুলো বলি, সেগুলোর যথার্থতা নিয়ে তারা প্রশ্ন করেন। স্বাভাবিক, এটা করা উচিতও। যেটা আমরা আপনাদের কাছ থেকে পাই। সুতরাং নিখুঁত হওয়া বা সঠিক হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রকল্পের উদ্দেশ্যের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই যাবতীয় বিষয়টিকে আমরা একটি শব্দের ওপর জোর দিতে চাই। ‘অ্যাডাপ্টেশন’ ইংরেজিতে, বাংলায় অভিযোজন। অ্যাডপটেশনের বাইরে আমরা বাস করতে পারবো না। অভিযোজন করেই আমরা এখানে এসেছি যাবতীয় প্রাণীকুল, উদ্ভিদকুল যাই বলি। অভিযোজনের মাধ্যমেই এখানে এসেছি। ’

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, যেকোন উদ্যোগের আগে অবস্থান জানা প্রয়োজন। আর সেই অবস্থান জানতে প্রয়োজন সঠিক পরিসংখ্যানের। এসডিজির ক্ষেত্রৈ জলবায়ুর তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামগ্রিকভাবে একটি সরকার পরিচালিত হয়। তবে সরকারের একক কোন বিভাগ একেক ধরণের কাজ করলেও কাজটা কিন্তু সামগ্রিকই হয়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এসডিজির মূখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বিবিএস উপ-মহাপরিচালক ঘোষ সুবব্রত প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২০
এমআইএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।