ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দৈনিক লেনদেন ২০০ কোটি টাকা ছাড়ালো ‘নগদ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
দৈনিক লেনদেন ২০০ কোটি টাকা ছাড়ালো ‘নগদ’

ঢাকা: বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর দৈনিক লেনদেন ২০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক এ ঘোষণা দেন।

সরকারের পক্ষ থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে দৈনিক ২০০ কোটি টাকা লেনদেনের মাইলফলক স্পর্শ করার কথা বলা হলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই তা  অতিক্রম করে দেশের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল এ ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল অপারেটরটি। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দৈনিক ১০০ কোটি টাকা লেনদেনের মাইলফলক অতিক্রম করে ‘নগদ’।

‘নগদ’ এর দ্রুতগতির অগ্রযাত্রাকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং গ্রাহকবান্ধব সেবা চালু করার সফল বলে মনে করেন তানভীর এ মিশুক।

তিনি বলেন, ‘‌প্রচলিত সব পরিষেবা যাতে ‘নগদ’-এ পাওয়া যায় তার জন্য আমরাা ‘সব হবে নগদ-এ’ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। আর সে জন্য প্রতিদিনিই আমরা অসাধ্য সাধনের আশায় কাজ করছি। মোবাইল ফোন থেকে *১৬৭# নম্বরে ডায়াল অ্যাকাউন্ট খোলা বিশ্বের আর কোথাও সম্ভব না হলেও ‘নগদ’ সেটি সম্ভব করেছে। অথচ একসময় একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে কতো কিছুই না করতে হতো। উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার এ গতিধারায় প্রতিষ্ঠার মাত্র দেড় বছরের মধ্যে ‘নগদ’ ২০০ কোটির মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছে। এটি আমাদের জন্য অনেক আনন্দের। ’

‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছিলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারির আগে ২০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করার কথা, যেটি আমরা আগেই করে ফেলেছি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই, আমাদের জনগণের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টাকেও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।

আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরুর পর থেকে ‘নগদ’ দেশের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস খাতসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যাত্রা শুরুর মাত্র দুই বছরেরও কম সময়ে ১২ হাজার মার্চেন্টকে ‘নগদ’ নেটওয়ার্ক যুক্ত হয়েছে, আছে প্রায় সাড়ে ৩০০ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের সুবিধা। ফলে কেনাকাটার ডিজিটাল লেনদেনে ‘নগদ’-ই এখন সেরা পছন্দ।

বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, টেলিফোনসহ সব রকম পরিষেবার বিল দেওয়া কোনো রকম বাড়তি খরচ ছাড়া শুধু ‘নগদ’-এ করা যাচ্ছে। ‘নগদ’ থেকে প্রায় ২০০-এরও বেশি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কোম্পানির বিল দেওয়া এবং মোবাইল ফোন অপারেটরে রিচার্জ এবং বিভিন্ন প্যাকেজ কেনা যায় নিমিষেই।

সরকারের বিভিন্ন আর্থিক কর্মকাণ্ড বিশেষ করে প্রাথমিকের উপবৃত্তির টাকা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে বিতরণ, সরকারি বিভিন্ন অনুদান ও ভাতার টাকাও যাবে ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। এর ফলে উপকারভোগীরা সুফল পাবেন। কারণ তাদের টাকায় অন্যকেউ ভাগ বসাতে পারবে না। এ ছাড়া টাকা তুলতে বাড়তি ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে না।

টানা লকডাউনের কারণে কাজ হারানো ৫০ লাখ পরিবারকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিবার আর্থিক সহায়তা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যার মধ্যে ১৭ লাখই বিতরণ করা হয় ‘নগদ’ এর মাধ্যমে। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নিসা মুজিবের ৯০তম জন্মদিনে দুস্থ নারীদের মধ্যে ভাতা বিতরণেও প্রধানমন্ত্রী বেছে নেন কেবল ‘নগদ’-কেই।

অতিমারির সময়ে মানুষ যাতে ঘরে বসেই ভিসা ও মাস্টারকার্ড থেকে ‘নগদ’ ওয়ালেটে টাকা আনতে পারে তার ব্যবস্থা করে ‘নগদ’। করোনার টেস্টের ফি দেওয়ার প্রক্রিয়া ডিজিটাল করতে আর কোনো অপারেটর এগিয়ে না এলেও ‘নগদ’ এ সেবাটি চালু করে। ফলে ঘরে বসে করোনা পরীক্ষার ফি দেওয়া, কিংবা কোনো বুথে গিয়েও করোনা পরীক্ষার ফি দেওয়া যায়। পাশাপাশি কোভিডের সময় দুই লাখের বেশি পোশাক শ্রমিকের বেতন-ভাতা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
এসই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।