ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে শাবিপ্রবি

হাসান নাঈম, শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে শাবিপ্রবি ছবি: বাংলানিউজ

শাবিপ্রবি (সিলেট): কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস।  সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা কামড়ে ধরেছে প্রকৃতিকে।

যারা আজ খুব ভোরে আড়মোড়া ভেঙ্গে ঘুম থেকে উঠেছেন তারা গ্রামীণ আবহের অন্যরকম এক ক্যাম্পাস উপভোগ করেছেন।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায় চারপাশে প্রচণ্ড কুয়াশা, ভালো করে দু-চার হাত দূরের মানুষকেও দেখা যাচ্ছিল না, কুশায়ায় ঢেকে গেছে স্বচ্ছ পরিষ্কার নীল আকাশটিও। ক্যাম্পাসের মূল ফটক, এককিলো, গোলচত্বর, বঙ্গবন্ধু চত্বর, চেতনা-৭১, একাডেমিক ভবন, আবাসিক হলসহ পুরো শাবিপ্রবিই যেন ধূসর কুয়াশায় ছেয়ে গেছে। যারা নিত্যদিন প্রাতঃভ্রমণে বের হন, তারাও বাইরে বেরিয়ে সময় কত হলো তা ঠিক বুঝতে পারছিলেন না।

বুঝাই যাচ্ছে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা রয়েছে। সূর্যের তেজও কমেছে। দক্ষিণ-পূর্ব থেকে প্রতি ঘণ্টায় ৭ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। কনকনে হাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। সিলেট বিভাগটি ভারতের মেঘালয়, আসাম ও শিলংয়ের কাছাকাছি হওয়ায় এখানে শীত ও কুয়াশার তীব্রতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

অন্যদিকে শীতের দিনে ভ্রমণ পিপাসু শিক্ষার্থীরাও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পর্যটন স্থানগুলোতে ভ্রমণ করে থাকেন। শীতের দিনে বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেওয়া, বিভিন্ন ধরণের শীতকালীন খাবার, বারবিকিউ, পিঠা উৎসবসহ নানা ধরণের আয়োজনে সরব রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সবাই নিজেদের মতো করে শীত উপভোগ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সকালে হাটতে হাটতে কথা হয় লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী টিপু মিয়ার সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে জানান, আজকের সকালে ক্যাম্পাসটা উপভোগ্যই মনে হয়েছে। ঘন কুয়াশা থাকলেও আবহাওয়াটা উষ্ণ রয়েছে। তাই সময়টা উপভোগ করতে সকালে ঘুম থেকে উঠেই ক্যাম্পাসের এককিলোর ওয়াকওয়েতে হাটতে বের হয়েছি। সকালে বের হয়ে ভালোই লাগছে। এখন পড়াশোনা শেষের দিকে, কয়েকদিন পর ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে হবে। তখন এসময়ের কথাগুলো বেশিই স্মরণ থাকবে।

কথা হয় আরেক শিক্ষার্থী সাইফের সঙ্গে। তিনি সেন্ট্রাল ফিল্ডে এসেছেন ক্রিকেট অনুশীলনে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলছে, সকালে আমাদের টিমের অনুশীলন থাকায় আসতে হয়েছে। অন্যান্য দিন কুয়াশা কম ছিল, ঠাণ্ডা একটু কম অনুভূত হয়েছে।  আজ ঠাণ্ডা বেশি। শীতের সকালে সবচেয়ে কষ্টদায়ক হলো সকালে ঘুম থেকে ওঠা, তবুও অনুশীলনের জন্য ঘুম ছেড়ে মাঠে চলে এসেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।