ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

রং-তুলির আঁচড়ে সেজেছে জাবি ক্যাম্পাস

মেহেরব হোসেন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৩
রং-তুলির আঁচড়ে সেজেছে জাবি ক্যাম্পাস

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): সবুজের নান্দনিকতায় এক শৈল্পিক ক্যাম্পাস সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। সবুজের মাঝে লাল ইটের তৈরি ভবনগুলো বদলে দিয়েছে ক্যাম্পাসের রূপ।

সম্প্রতি রংতুলির আঁচড়ে নতুনভাবে সেজেছে ক্যাম্পাসের ধুলা-ময়লাময় বসার জায়গাগুলো।

দৃষ্টিনন্দন এসব চিত্রকর্ম দেখে থমকে যাচ্ছেন পিচঢালা পথ ধরে হাঁটতে থাকা পথচারী। মনোমুগ্ধকর এসব চিত্রকর্মের সঙ্গে স্মৃতি রাখতে ক্যামেরার হাতেও দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন তারা। বন্দি করে ফেলছেন মুহূর্তগুলো।

সরেজমিনে দেখা যায়, চৌরঙ্গী, মুন্নী সরণি ও পরিবহন চত্বর এলাকা সংলগ্ন বসার জায়গাগুলোতে চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। কোনটিতে প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছোঁয়া আবার কোনটিতে পশু পাখি আবার কোথাও গাছপালা। সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী, মুন্নী সরণি ও পরিবহন চত্বর এলাকায় এখন নান্দনিকতার ছোঁয়া।

এই চির্ত্রকর্মগুলো করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসাইন লিখন। ধুলাবালি জমা এসব বসার জায়গায় স্বপ্রণোদিত হয়ে কারু কাজ করে চলেছেন তিনি। তবে তার কারুকাজ সবার পছন্দ হওয়ায় নিজেকে সামনের দিনে আরও ভালোভাবে মেলে ধরতে পারবেন বলে মনে করেন তিনি। তার এই কাজে সাহায্য করেছেন চারুকলা বিভাগের ৫১ ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী।  

তারা হলেন- প্রমিতা কর, সুমাইয়া তাসনিম বুশরা, মেহেরুন্নেসা এনি, দিয়া, ইমন, ইমরান, সুদীপ্ত বৈষ্ণব, জয়া ও প্রাপ্তি।

শাহরিয়ার হোসাইন লিখন বাংলানিউজকে বলেন, ক্যাম্পাসের অপরিষ্কার জায়গা গুলো আমার চোখে খারাপ লাগতো। সেই খারাপ লাগার জায়গা থেকেই নতুন কিছু করে জায়গাগুলোকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে আমাদের ক্যাম্পাসের বসার জায়গাগুলো। এজন্য বসার জায়গাগুলোতে বিভিন্ন রকম চিত্রকর্ম করেছি।

তিনি আরও বলেন, অনেকে চিনতে পারতো না বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী এলাকা কোনটা? মুন্নী সরণি কোনটা? এজন্য আমি এগুলো তুলে ধরেছি। বিভিন্ন নকশা বা রং মানুষের জীবনে খুশির বার্তা নিয়ে আসে। তাই পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে রঙিন করে সাজাতে চাই। এজন্য পৃষ্ঠপোষকতা পেলে কাজটা অনেক সহজ হবে বলে।

রাস্তার পাশের এই চিত্রকর্ম নজর কাড়ছে সবার। শিল্পের কারিগরি দক্ষতা পথচারীদের কাছে টানছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিকুন নাহার আশা। ঘুরতে বের হয়ে তার চোখে পড়ে এই চিত্রগুলো।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকদিন আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী এলাকার এই বসার জাগাগুলোতে ময়লায় পূর্ণ ছিলো। কিন্তু ঘুরতে বের হয়ে দেখতে পেলাম এখানে নানা ধরনের চিত্রকর্ম করা হয়েছে। এই চিত্র অঙ্কন করায় এগুলো আগের থেকে অনেক ভালো লাগছে।

ঢাকার বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন আফরিনা আজম অনিমা। বন্ধুদের সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসেছিলেন তিনি।  

অনিমা বাংলানিউজকে বলেন,পূর্বেও জাহাঙ্গীরনগরে এসেছি৷ তবে তখন এই জায়গাগুলোতে এমন চিত্র ছিলো না। তখন জানতামও না এই জায়গার কি নাম। তবে এবার এসে এখানকার কারুকার্য দেখে ভালো লাগছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৩
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।