ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

৩ দিন ধরে একটি অ্যাম্বুলেন্স আটকে রেখেছেন জাবি শিক্ষক 

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৩
৩ দিন ধরে একটি অ্যাম্বুলেন্স আটকে রেখেছেন জাবি শিক্ষক  আটকে রাখা অ্যাম্বুলেন্স

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়:তিন দিন ধরে একটি অ্যাম্বুলেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রেখেছেন  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক উবাইদুর রহমান সিদ্দিকী।  

তার গাড়িতে ধাক্কা দেওয়ার অপরাধে এ জরুরিসেবা পরিবহনটি আটকে রেখেছেন অধ্যাপক উবাইদুর।

আজ শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কার্যালয়ে সামনে অ্যাম্বুলেন্সটি দাঁড়িয়ে আছে। গাড়িটির নম্বর কক্সবাজার ছ-৭১০০১৬। গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি সেখানেই অবস্থান করছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিশমাইল এলাকায় অধ্যাপক উবাইদুর রহমান সিদ্দিকীর গাড়িতে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় টাঙ্গাইলগামী একটি অ্যাম্বুলেন্স। এতে তার গাড়ির পেছনের অংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে ওই শিক্ষক তার বিভাগের কয়েক শিক্ষার্থীকে ডেকে অ্যাম্বুলেন্সটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কয়েক কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত হন। কিন্তু নিরাপত্তা শাখার কাছে গাড়িটি হস্তান্তর না করে শিক্ষার্থীরা শহীদ রফিক-জব্বার হলে নিয়ে যান। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সচালক গাড়ির চাবি রেখে ভয়ে পালিয়ে যান। পরে সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার কিছু সময় পর গাড়িটি নিরাপত্তা শাখার কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষার্থীরা।

ক্ষতিপূরণ দিলে অ্যাম্বুলেন্সটি ছেড়ে দেবেন বলে জানান অধ্যাপক উবাইদুর রহমান।  

এ বিষয়ে তিনি বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটি ধাক্কা দেওয়ায় আমার গাড়ির পেছনের অংশে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। আমি ওইদিনই পাশের এলাকা থেকে এক গ্যারেজ কর্মচারীকে ডেকে এনে গাড়িটি মেরামতের সম্ভাব্য খরচ জানতে চাইলে ওই কর্মচারী আমাকে ৭০ হাজার টাকার কথা জানান। আমার গাড়ি মেরামতের খরচ দিলে অ্যাম্বুলেন্স ছেড়ে দেওয়া হবে।

এদিকে টাঙ্গাইল বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সদস্য শরীফ সিদ্দিকী বলেন, ওই শিক্ষকের গাড়িটি যে পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে, সেটা মেরামত করতে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার বেশি খরচ হবে না। কিন্তু তিনি গাড়ির পেছনের অংশ পুরোপুরি নতুন লাগিয়ে নেবেন বলে জানিয়েছেন। এতে ৭৫ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। আমাদের পক্ষে এটা দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, উবাইদুর স্যার অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে রাখার বিষয়ে আমাদের জানাননি। তিনি তার শিক্ষার্থীদের জানিয়েছিলেন। ওরা অ্যাম্বুলেন্স আটকে রেখেছিল। তবে ওইদিন রাত ১০টার দিকে প্রক্টর স্যারের নির্দেশে অ্যাম্বুলেন্সটি নিরাপত্তার শাখায় হস্তান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।