ঢাকা: বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণ করায় এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
‘ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য ইস্তাম্বুল প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন’র বাংলাদেশ খসড়া জাতীয় প্রতিবেদন বিষয়ে অবহিতকরণ উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় অর্থমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি কলেজগুলো জাতীয়করণের ফলে এসব কলেজের প্রায় ৫০ শতাংশ শিক্ষক ঢাকায় চলে আসেন এবং বসে বসে বেতন নেন। আমি এ বিষয়টা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। আমার এলাকার একটি বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণ করতে এসেছিল, আমি না বলে দিয়েছি।
মুহিত বলেন, বাংলাদেশে এখনও ৪ কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করে। তবে দারিদ্র্য নিরসনের ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ রোল মডেল।
দেশের গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামাঞ্চলের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার মান ভালো। কিন্তু ইউনিয়ন পর্যায়ে যেগুলো রয়েছে, তার মান ততোটা ভালো নয়।
বাংলাদেশ ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় থাকবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এর আগে উন্নয়ন সহযোগীরা সুদের হার বাড়িয়ে দেবে, এটা কাম্য নয়। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে জাপানসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা সুদ বাড়ানোর নোটিশ দিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে উন্নয়ন সহযোগীরা সুদের হার না বাড়ায়।
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের ঘোষণা আসবে ২০১৮ সালে। তারপরও তিন বছর আমরা সুযোগ পাবো। ২০২১ সালের আগে মধ্যম আয়ের দেশ হবে- এটা সত্যি। কিন্তু এখনই সুদ বাড়ানোর কারণ নেই।
অর্থনীতি সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫/আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা
এমআইএস/আরইউ/এমএ/আরএম